বিজ্ঞাপন দিন

ভিক্ষুকের সঙ্গে কোটিপতির মেয়ে বিয়ে


নিউজ ডেস্ক:পৃথিবীতে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা বিস্ময়ের মাত্রাকেও হার মানায়। তেমন কিছু ঘটনা মনে হতে পারে শুধু চলচ্চিত্রেই সম্ভব। তবে বাস্তব জীবনেও কখনো কখনো চলচ্চিত্রের প্রতিফলন ঘটে।
সম্প্রতি ভাগ্যবান এক ভিক্ষুকের সঙ্গে এক কোটিপতির মেয়ের বিয়ে হয়েছে। যেখানে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন কয়েক হাজার ভিক্ষুক।
জানা গেছে, ভারতের কেশ কিং কোম্পানির মালিক সুরেন্দ্রনাথ স্বপ্ন দেখেন তার বিশাল সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে যেকোন সময়। পরে এক সন্ন্যাসীর কাছে যান তিনি। সন্ন্যাসী তাকে পরামর্শ দেন তার এই বিশাল সম্পত্তি রক্ষা করতে হলে তার একমাত্র মেয়েকে কোনো ভিক্ষুকের সঙ্গে বিয়ে দিতে হবে। এই কথা ভেবে সুরেন্দ্রনাথ কোনো রকম বিচলিত বা অবাক হননি, তিনি হন্য হয়ে ভিক্ষুক খুঁজতে থাকেন।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর ভারতের তেগুভা অঞ্চলে এক তরুণ ভিক্ষুকের সন্ধান পান। পরে ভিক্ষুকের সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে সেই ভিক্ষুক কোনোরূপ ভনিতা ছাড়াই রাজি হয়ে যান।
আর বিয়েতে যৌতুক হিসেবে ভিক্ষুক দাবি করেন একটা ঠেলাগাড়ি। কারণ মাটিতে বসে ভিক্ষা করতে তার আর ভালো লাগে না। আর বিয়ের দিন সব ভিক্ষুক তার সঙ্গে বরযাত্রী যাবে সেই ব্যবস্থা যেন সুরেন্দ্রনাথ নিজেই করে দেন।
আর সুরেন্দ্রনাথ এর প্রস্তাব ছিল বিয়ের একমাস পার হলেই তার মেয়েকে তালাক দিতে হবে। সুরেন্দ্রনাথ এবং গৌতম ভিক্ষুক উভয়েই সব প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান।
কিন্তু বিয়েতে বাদসাধে তার মেয়ে সুস্মিতা। সর্বশেষ সব পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজি হয়ে যান তিনিও।
খুব ধুমধামের মাধ্যমে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। কিন্তু ভিক্ষুক গৌতম এখন তার সুর পাল্টিয়েছে, সে তার বউকে তালাক দিতে নারাজ। অপরদিকে সুস্মিতা নিজেই গৌতমের আচরণে মুগ্ধ।
তাহলে এখন কি সুরেন্দ্রনাথ এর সব সম্পত্তির মালিক গৌতম হচ্ছেন? এই বিষয় নিয়ে কেরালায় চলছে ব্যাপক তোলপাড়।
তেগুভা অঞ্চলের ভিক্ষুকদের প্রধান হারাধন জানিয়েছেন, সুরেন্দ্রনাথ কোনো রূপ বাড়াবাড়ি করলে ভিক্ষুকরা গৌতমকে নিয়ে আদালত পর্যন্ত যাবেন।