বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারীতে ৭ম ও ৯ম শ্রেণী পড়–য়া ছাত্র/ছাত্রীদের জে,ডি,সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শিমূলবাড়ী ইউনিয়নের লক্ষীমাড়াই আহম্মাদীয়া দাখিল মাদরাসা ৭ম ও ৯ম শ্রেণী পড়–য়া ছাত্র/ছাত্রীদেরকে দিয়ে জোরপূর্বক জে,ডি,সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদরাসার সুপার এই ঘটনার সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। শিমূলবাড়ী ইউনিয়নের বেহাল দশা গ্রস্ত এই প্রতিষ্ঠানটিতে ছাত্র/ছাত্রী কম থাকায় পরীক্ষার্থী বৃদ্ধি করার জন্য এই অপকর্ম করেছেন কবির উদ্দিন ঐ মাদরাসার সুপার। ২০১৫ ইং সালে জে,ডি,সি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ জন ছাত্র/ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ সকলেই কৃতকার্য হয়। এদের মধ্যে ২০১৬ ইং সালের জে,ডি,সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছেন ৩ জন ছাত্রী। তারা হলেন, মোতাহারা যার রোল নং-৩৪১৩৩৮ (জিপিএ-৩.৮০), আখিমনি রোল নং-২৪১৩১১ (জিপিএ-৩.৯৫) এবং অন্তরাগফুর ইতিমনি যাহার নং-২৪১৩১৫ (জিপিএ-৪.১০)। ২০১৫ ইং সালে জে,ডি,সি পরীক্ষায় পাশ করেও পূণরায় ২০১৬ ইং সালে জে,ডি,সি তে রেজিষ্ট্রেশন করে নিয়মিত পরীক্ষার্থী দিখিয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়ায়ও ৭ম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ৪ জন ছাত্র/ছাত্রী আছে। এরা হলেন, মোছাঃ কুলছুম, নুরানী, মোরছালিন ও মঞ্জুমা আক্তার এরা সকলে ৮ম শ্রেণীর বই না পড়েও জে,ডি,সির রেজিষ্ট্রেশন করে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে বলে তাদের সহপাঠি জাকির হোসেন জানায়। গত ১৫ নভেম্বর মঙ্গলবার সরজমিনে লক্ষীমাড়াই আহম্মাদীয়া দাখিল মাদরাসায় দুপুর ১ টার সময় গেলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানে কাউকে দেখা না পেয়ে সুপারকে ফোন দিলে তিনি বলেন, পরীক্ষা চলার কারণে মাদরাসা ছুটি দেওয়া হয়েছে। পরে স্বাক্ষাতে কথা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করার জন্য এসব করানো হয়েছে। ১৬ নভেম্বর বুধবার পরীক্ষা চলাকালিন ছিটমীরগঞ্জ ফাজিল মাদরাসার পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে জানা যায় লক্ষীমাড়াই আহম্মাদীয়া দাখিল মাদরাসার ১৩ জন পরীক্ষার্থী নিয়মিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছে। এ সময় কেন্দ্র সচিব ও অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ বলেন, ঐ মাদরাসার ১৩ জন পরীক্ষার্থী নিয়মিত ভাবে পরীক্ষা দিয়ে আছসে, আজও বিজ্ঞান পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফুজ্জামানের সাথে বিভিন্ন বিষয় কথা হলে তিনি জানান, পরীক্ষার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবেনা, এবং ৭ম ও ৯ম শ্রেণীর ছাত্র/ছাত্রীদের জে,ডি,সিতে রেজিষ্ট্রেশন করে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার নিয়ম নেই। সত্যতা মিললে প্রতিষ্ঠানের সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয় জেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, কোন ভাবেই এ সকল শিক্ষার্থীদেরকে জে,ডি,সির পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।