বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকা স্টেডিয়াম এখন গরুর আবাসভূমি

বজলুর রশীদ :জলঢাকা উপজেলার গ্যালারীবিহীন স্টেডিয়ামে এক সময় বিভিন্ন প্রান্তের ফুটবল ও ক্রিকেট দল আসত। কানায়-কানায় পূর্ণ হতো দর্শকে। যা সুখস্মৃতিতে মলিনের পথে আয়োজন আর পরিচর্যার অভাবে। ক্রীড়াহীন এ স্টেডিয়ামটি এখন পোকামাকড়ের বসতি আর গরুর আবাসভূমিতে পরিণত হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতনরা উদ্যোগ নিলে বাঁচত এ জনপদের ক্রীড়াঙ্গন। পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায় লুকিয়ে থাকা মেধাবীরা সুযোগ পেয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে সমৃদ্ধ করে সুনাম বয়ে আনত বলে মনে করছেন স্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও সচেতন সমাজসেবকরা।
প্রায় ১০ একর জমি প্রাচীর দিয়ে ঘিরে এ উপজেলাবাসীর খেলাধুলার জন্য স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করেন তৎকালীন সরকার। এরপর হতেই এখানে উপজেলা ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে ফুটবল লীগ, ক্রিকেট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো। এছাড়া এলাকাবাসীর উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অতিথি দল নিয়ে বিভিন্ন নাম গোল্ডকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর সে প্রতিযোগিতা নিয়মিত আর হয়নি। তবে আচমকা দীর্ঘ বিরতিতে এ উপজেলার ফুটবল লীগ আয়োজন হলেও দর্শকরা মাঠে এসেছিলেন। আবার বন্ধ। আর ক্রিকেট প্রতিযোগিতা আয়োজনের অবস্থা একই।
আর মাঠটি পরিচর্যা না হওয়ায় পরবর্তীতে প্রাচীরগুলি ভেঙ্গে পরে ফলে কোন ক্লাবই অনুশীলন করতে আসেন না। এভাবে এ জনপদের ফুটবল ও ক্রিকেট খেলা ও খেলোয়াড় প্রায়ই হারিয়ে যেতে বসেছে। এভাবে দিনের পর দিন কোন খেলাধুলা না হওয়ায় হুমকিতে পড়েছে এ জনপদ হতে সকল খেলা। স্টেডিয়ামটিতে গিয়ে দেখা যায়,গরু বাধার প্রতিযোগিতা ,আর সন্ধ্যা হলে
এর আড়ালে চলে তরুণদের জুয়া ও নেশার আড্ডা। যেন দেখার কেউ নেই। অথচ সংশ্লিষ্টরা এ নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেন না। যা খুবই দুঃখজনক। এলাকাবাসী জানান, এখানে শুধু মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উদযাপন হয়। আর খেলা বলতে প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা প্রতিযোগিতা ছাড়া আর কোন খেলাই হয় না। তাই এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের এমপি মহোদয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।