বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে প্রবেশপত্রের টাকা উত্তোলন করলেন অফিস সহকারী


ছানোয়ার হোসনে বাদশা জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতনিধিঃ নীলফামারী জলঢাকায় প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র তুলতে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ করলেন, প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা। জানা গেছে, টেংগনমারী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষায় প্রবেশপত্রের জন্য পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে প্রবেশপত্রের টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

উক্ত প্রতিষ্ঠানে সাধারণ শাখায় ২ শত টাকা ও কারিগরী শাখায় ৫ শত টাকা উত্তোলনের অভিযোগও রহরহ। প্রতিষ্ঠানে সাধারণ শাখায় ২২৮ জন ও ভোকেশনাল শাখায় ১২ জন ২৪০ জন পরীক্ষার্থীর বিপরীতে ৫১ হাজার টাকা প্রধান শিক্ষক আশিকুর রহমানের নির্দেশে উত্তোলন করলেন অফিস সহকারী আলমগীর হোসেন ও ভোকেশনাল শাখার ইন্সট্রাক্টর আজহারুল ইসলাম। 

ঐ প্রতিষ্ঠানে এবারে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৪০ জন পরীক্ষা দিবে বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা। সংবাদকর্মীরা সরেজমিনে গেলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন পরীক্ষার্র্থী রিয়ন, সজীব, আদর্শ সরকার, হাসানুর, ফিরোজ, খায়রুল ইসলাম সহ আরোও অনেকে। এরা জানায়, “আমরা প্রবেশপত্র উত্তোলন করতে এসেছি, অফিস সহকারী আলমগীর স্যার আমাদের বলেন, সাধারণ শাখায় ২ শত টাকা আর ভোকেশনাল শাখায় ৫ শত টাকা দিতে হবে, এটা প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ। টাকা কম দিলে আমি কেউকে প্রবেশপত্র দিতে পারবো না।” এই কথা শুনা মাত্র বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পরীক্ষার্থীরা। এ ঘটনা শুনে প্রতিষ্ঠানে ছুটে যান অভিভাবক কো-আপ ও ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন। 

তিনি এসে উত্তেজিত পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থেকে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন এবং টাকা উত্তোলন বন্ধ করেন। এ ব্যাপারে অফিস সহকারী আলমগীর হোসেনের সাথে কথা হলে, তিনি বলেন যা কিছু করেছি স্যারের নির্দেশে। ইন্সট্রাক্টর আজহারুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। প্রধান শিক্ষক আশিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি ব্যস্ত পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠান সভাপতি রউফুল ইসলাম জানান টাকা নেওয়ার বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটির কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।