বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারীতে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে বিসিএস সাধারন শিক্ষা সমিতির মতবিনিময়

নীলফামারী প্রতিনিধি: দেশব্যাপী জাতীয়করণ হওয়া বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকদের বিসিএস শিক্ষ ক্যাডার হিসেবে অন্তর্ভুক্তি মানবে না বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি দাবি করেছে, নতুন করে জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকদের ননক্যাডার হিসেবে গণ্য করতে হবে। ওই কলেজের শিক্ষকদের চাকরি শুধু জাতীয়করণ হওয়া কলেজেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। আজ সোমবার সকাল ১১টায় নীলফামারী সরকারী কলেজের শিক্ষক সম্মেলন কক্ষে বিসিএস সাধারন শিক্ষা সমিতির নীলফামারী জেলার শাখার নেতারা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় করণ হওয়া কলেজের শিকদের ব্যাপারে এসব দাবি-দাওয়া জানান সরকারের কাছে। মুলত এই সংবাদ সম্মেলনে বিসিএস সাধারন শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকদের স্বার্থ ও মর্যাদা সুরক্ষায় বেসরকারী কলেজ জাতীয়করণ প্রক্রিয়া বাস্তবয়নের ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ বর্ণিত নির্দেশনার আলোকে সংশ্লিষ্ট কলেজের শিক্ষকদের ক্যাডার বহির্ভুত রেখে তাদের নিয়োগ,পদায়ন,জ্যেষ্ঠতা, পদোন্নতি,পরিচালনা ও চাকরির জন্য স্বতন্ত্র বিধিমালা প্রণয়ন করার দাবি করা হয়। সেই সঙ্গে বলা হয় শিক্ষা ক্যাডার তথা সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে দেয়া হবে না তার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এ সময় উপস্থিত সমিতির নেতারা জানান, জাতীয়করণ নিয়ে তাদের কোন আপত্তি বা বিরোধিতা নেই। সমিতির মূল আপত্তি মূলত জাতীয়করণ হওয়া কলেজের শিক্ষকদের বিসিএস ক্যাডারে ঢোকানো নিয়ে। কারন ‘যারা বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষকতায় এসেছেন তারা বেশ কয়েকটি ধাপে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিসিএস ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। কিন্তু নতুন করে জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকরা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত হলে বর্তমানের শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা জ্যেষ্ঠতা হারিয়ে ফেলবেন।’ সমিতির নেতারা মনে করছেন, এসবের ফলে মেধাবী শিক্ষকরা মারাতকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে বর্তমানে দেশে ১৫ হাজার শিক্ষক কর্মরত আছেন। জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকদের ক্যাডারে অন্তর্ভূক্ত করা হলে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডাররা ‘সংখ্যালঘুতে’ পরিনত হবে। যা শিক্ষার জন্য ক্ষতিকর সেই সঙ্গে ক্যাডারের শৃঙ্খলায় বিপর্যয় নিয়ে আসবে।’ তারা দেশের জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সরকারী করতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করার আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ব্যাপারে অনেক যুক্তিসঙ্গত কারণ তুলে ধরেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন নীলফামারী সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহেদুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর কারিগরি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আমির আলী, নীলফামারী সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহেদুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ওবায়দুল আনোয়ার, রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনিছুর রহমান, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বাবুল হোসেন, ইসলামে ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে নীলফামারী জেলা বিসিএস সাধারন শিক্ষা সমিতির ২৩ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি গঠন করে ঘোষনা করা হয়। এতে সৈয়দপুর কারিগরি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আমির আলীকে সভাপতি, নীলফামারী সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহেদুল ইসলাম সাধারন সম্পাদক ও একই কলেজের রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনিছুর রহমানকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত করা হয়। সুত্র মতে দেশব্যাপী যেসব উপজেলায় সরকারি কলেজ নেই সেখানে অন্তত একটি বেসরকারি কলেজকে সরকারি করছে সরকার। ইতোমধ্যে এই কার্যক্রমের আওতায় কিছু কলেজকে সরকারিও করা হয়েছে। সরকারি করার জন্য আরো তালিকভূক্ত করা হয়েছে ২২২টি কলেজকে। এসব কলেজ সরকারি হলে এই ধরণের জাতীয়করণ হওয়া কলেজের সংখ্যা হবে মোট ৩১৫টি। এসব কলেজে শিক্ষকতা করছেন ৮ হাজার শিক্ষক। pr