বিজ্ঞাপন দিন

আদর্শ উপজেলার রূপকার জলঢাকার ইউএনও

রাশেদুজ্জামান সুমন জলঢাকা নীলফামারী প্রতিনিধিঃ ইচ্ছা শক্তি ও মনের জোর থাকলে শুধু নিজের ঘরটাকেই নয় বাইরের দুনিয়াটাকেও সাজানো যায়। সৎ সাহাস থাকলে অপরাধকে দমিয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা যায়। ভাল কাজ দিয়ে সাধারণ মানুষের হৃদয়কে জয় করে সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন জলঢাকা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুহঃ রাশেদুল হক প্রধান। দায়িত্ব নেয়ার মাত্র ৬ মাস হলেও এরই মধ্যে এ উপজেলা থেকে ঘুষ, দুর্নীতি, মাদক,জুয়া, যানজট অনেকটাই কমিয়ে এনছেন। শুধু তাই নয় উপজেলা পরিষদকে নতুন আঙ্গিকে সাজিয়েছেন। হঠাৎ কেউ দেখলে মনে করবে এটা পিকনিক স্পট। জানা যায় গেল বছরের আগস্ট মাসে নুইয়ে পড়া এ উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব নেন। তারপর জলঢাকার বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাথে আলেচনার মাধ্যমে ভাল মন্দ দিক নির্দেশনা শুনে শুরু করেন তার সৎ সাহসিকতার তরুণ মেধার নিরলস কার্যক্রম। যা এ উপজেলার সাধারণ মানুষের জন্য মঙ্গল বয়ে এনেছে। যেখানে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা নিজের খেয়াল মত স্কুল চালত ইউএনও এসব স্কুল পরিদর্শন করে নিয়মের মধ্যে এনেছেন। টিআর, কাবিখা, ভিজিএফ, ভিজিডি, এলজিএসপি সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অনেকটাই দুর্নীতি কমিয়ে এনেছেন। সরকারি অফিস গুলো থেকে দালাল মুক্ত করে শৃঙ্গখলা বদ্ধ রাখার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। জুয়া ও মাদক জলঢাকা থেকে সরানো যাচ্ছিল না সেগুলো এখন অতীত। নকল মুক্ত পরিক্ষা, অবৈধ স্থাপনা, যানজট মুক্ত শহর বিশেষ করে উপজেলা পরিষদের ক্যাম্পাসটাকে বাহারী ফুলের বাগানে ও রকমারী রং তুলির আচরে অফিসের দেয়াল গুলোকে রাঙ্গিয়ে তুলেছেন। যা দেখলেই চোখ জুরিয়ে যায়। মনের মধ্যে শান্তি মেলে। পুকুরের সিড়ি, চারপাশের বসার ওয়াল, দিঘিতে নৌকা, মটর সাইকেল চুরি রোধে গ্যারেজ সব কিছুই শৃঙখলা বদ্ধ। এ যেন স্বপ্নে দেখা পরিবেশ। শত বয়সী আজিমুদ্দিন জানান স্বাধীনতার পর আমরা এ রকম ইউএনও পাইনি। তার সততা আদর্শ এ উপজেলার প্রতিটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি আমাদের মাঝে যেন যুগ যুগ থাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষক জানান আমি আগে স্কুল কামাই করতাম এখন ইউএনও স্যারের তৎপরতার কারনে সময় মত দায়িত্ব পালন করি। এরকম আরও অনেকেই ইউএনও মুহঃ রাশেদুল হক প্রধান এর গুণ কীর্তন করেন যা কলমের কালিতে লিখে শেষ হবার নয়।