বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারীতে সার তৈরীর সরঞ্জামসহ ভেজাল সার জব্দ ও ভ্রাম্যমানে অর্থদন্ড

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিবেদকঃ নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলো ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সিংদই ও রাম নগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বিশমুড়ি সরকার পাড়া এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযানে সার তৈরীর সরঞ্জামসহ ভেজাল সার জব্দ করে অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আবু হাসান এর নের্তৃত্বে র‌্যাব, পুলিশ ও আনছার সদস্যদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে এ অভিযান চালায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৭ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত একটানা ৬ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ইটাখোলা সিংদই এলাকার ফ্রেন্ডস এ্যাগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ এর কৃষক মার্কা ইন্ডিয়ান জিপসাম সার ১০ কেজি করে ২২৪৭ ব্যাগ, হলার মেশিন ৩ টা, মিক্সার মেশিন ৩ টা, সেলাই মেশিন ১ টা, প্যাকেজিং জাম মেশিন ১ টা জব্দ করে। এবং ২ টি গুদাম ঘরে তালা ঝুলিয়ে সিলগালা করে। 

অপরদিকে রাম নগর বিশমুড়ি সরকার পাড়া এলাকার মৃত অপর উদ্দিনের ছেলে মহির উদ্দিন (৫৫) এর গুদাম ঘরে অভিযান চালিয়ে আবির এ্যাগ্রো লিঃ এর ভার্মি, জৈব ও মিশ্র সার ৫০ কেজির ৩৮ টি ব্যাগ এবং তামাকের গুড়ি ১১ বস্তা জব্দ করে এবং ২০০৬ সাল এর সার ব্যবস্থাপনা আইনের ১৭ ধারা মোতাবেক ২০ হাজার জরিমানা অনাদায় ৭ দিনের কারাদন্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালত। ফ্রেন্ডস এ্যাগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজের মালিক সামসুজ্জামান (টিপু) নীলফামারী পৌরসভার মাস্টার এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীন মাস্টারের ছেলে। ফ্রেন্ডস এ্যাগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজের মালিক সামসুজ্জামান (টিপু) উপস্থিত না থাকায় মার্কেটিং ম্যানেজার হারুনার রশিদ কে আটক করে একই আইনে ১ লক্ষ জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের জেল শুনানি দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আবু হাসান। তৎক্ষনাৎ জরিমানার টাকা পরিশোধ করলে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

এ অভিযান চলাকালিন সদর উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ মাজেদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, এসব ভেজাল সার জমিতে ব্যবহার করে কৃষকদের বিপদে ফেলছে এসব অসাধু ব্যবসায়িরা। যার ফলে ভাল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকরা।