বিজ্ঞাপন দিন

বেড়েছে সুদ চক্রের তান্ডব জলঢাকায় জমজমাট সুদ মদের সিন্ডিকেট

সীমান্ত রায়, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় ক্রমাগত বেড়েই চলেছে সুদ মদের তান্ডব। ফলে শোষিত হচ্ছে খেটে খাওয়া শ্রমিক মজুর। ঘটনার বিবরনে পাওয়া তথ্য মতে, উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের বড়ঘাট চেংমারী নীল সাগর সংলগ্ন হিন্দু পাড়ায় ঘটেছে এমনটি। অভিযোগে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিগত ৩ মাস পূর্বে মনোরঞ্জন রায় (টন্নার) রেফারেন্সে রেয়াজ উদ্দিন ও সামসুল হককে চার হাজার টাকা রবিউল ইসলাম লাভের বিনিময়ে প্রদান করে। উভয়ে সেই শর্ত গ্রহন করে শোধ ও করে আসছে শর্তানুযায়ী। কিন্তু অহেতুক হাজারে দশ টাকার পরিবর্তে বিশ টাকা প্রতিদিন লাভ চেয়ে বসে রবিউল। এমন এজাহার সূত্রে বর্ণিত অভিযোগে পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা আসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান ঘটনাটি সত্যতার যাচাই চলছে। পাওনা টাকার সূত্র ধরে গত ১০/১১/২০১৭ইং তারিখে রবিউল রাতের বেলায় টন্না রায়ের পরিবারে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ঐ পরিবারের কৃষ্ণ রায়ের স্ত্রী শ্যামলী রানীকে শ্লীলতাহানি করার অপচেষ্টা চালায়। পূত্র বধু শ্যামলীর সম্মান রবিউলের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য টন্না রায় ও ফুলো বালা এগিয়ে আসলে রবিউল ও তার দলবল দুজনকে এলোপাতারি লোহা লাঠির আঘাতে মাথায় ও শরিরের যেখানে সেখানে আঘাত হানে ফলে পূত্র বধু রক্ষা পেলেও রক্ষা পায়নি ফুলো বালা। তিনি তৎক্ষনাৎ অজ্ঞান হলে স্থানীয় লোকের সহায়তায় জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি অবধি এখনো চিকিৎসাধীন। সুদ ও অন্যান্য অসামাজিক কার্যকালাপের জন্য এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল হক (বাবু) এর সাথে কথা হলে, তিনি জানান, কৈমারী ইউনিয়নে বেড়েছে সুদ মদের আড্ডা ফলে তৈরি হয়েছে ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ডের অবৈধ কার্যকলাপের সিন্ডিকেট। থানা পুলিশের অভিজানে প্রতিনিয়ত ধরা পরছে জুয়ারু, মদারু, সুদারুদের উপদ্রব। এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, নেশা খোরসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।