জল ডেস্ক বিশেষ প্রতিনিধি:
জলঢাকা ডিগ্রী কলেজ শহীদ মিনারের পাদদেশে সেকায়েপ এসিটি শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ এসিটি এসোসিয়েশন, নীলফামারী শাখা কর্তৃক চাকুরী স্থায়ীকরনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তাফা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল হক প্রধান-এর নিকট হস্তান্তর করেন।
এসময় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নীলফামারী-০৩ আসনের সাংসদ অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, "নীলফামারী জেলায় একমাত্র জলঢাকায় এই সেকায়েপ এসিটি আছে, যা সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি ও আমার একান্ত প্রচেষ্টায়। সুতরাং আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সংসদে তোমাদের স্থায়ীভাবে বহাল করার জোর দাবী পেশ করব।
এক এসিটির বক্তব্য শুনে তিনি আরও বলেন, তোমাদের হৃদয় ভাঙ্গা আর্তনাদ আমি বুঝি, কারন একসময় আমিও তো তোমাদের মতই শিক্ষক ছিলাম।
পরে জেলা প্রশাসক, নীলফামারী মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পৌছানোর লক্ষ্যে অপর স্মারকলিপি রাশেদুল হক প্রধান - ইউ,এন,ও(জলঢাকা) এর নিকট হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য যে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশের ৬৪ উপজেলায় সেকায়েপের কার্যক্রম চলছে। সেকায়েপ ১২ টি কম্পোনেন্ট নিয়ে পরিচালিত এর মধ্যে সবচেয়ে সফল ও জনপ্রিয় কম্পোনেন্ট হচ্ছে স্কুল ও মাদ্রাসা পর্যায়ে এ সি টি কম্পোনেন্ট। শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া রোধে ব্যাপক ভুমিকা পালন করে আসছে এসি টি শিক্ষকরা ।
এমনকি বাল্য বিবাহ রোধেও ব্যাপক অবদান তাদের। তিনটি বিষয়ে এ সি টি কম্পোনেন্ট পরিচালিত বিজ্ঞান, ইংরেজী, গনিত। অনার্স পর্যায়ে গড়ে যে সকল শিক্ষার্থীদের নাম্বার ৫০% এর উপরে ছিলো শুধু তাদেরকেই নিয়োগ দিয়েছেন সেকায়েপ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কতৃপক্ষ।তিন বছর মেয়াদী এই প্রজেক্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিলো শিক্ষার মানউন্নয়নে গ্রাম পর্যায়ে শিক্ষার্থী ঝড়েপড়া রোধে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের মানউন্নয়ন।
শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ করে দেখা যায় যে এই সকল বিষয়ে এ সি টি শিক্ষকরা সফল হয়েছে।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জলঢাকা বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এ সি টি ( গনিত) শিক্ষক ও জলঢাকা উপজেলা সভাপতি, বাংলাদেশ এসিটি এসোসিয়েশন মোঃ তমিজার রহমান, প্রচার সম্পাদক মিসবাহ-উল হক(এসিটি ইংরেজি), সাধারণ সম্পাদক এসিটি (বিজ্ঞান) শিক্ষক মোঃ মোকছেদুর রহমান সাগর, সহ-সভাপতি লুবনা ইয়াসমিন, বিমল শর্মা, সাদেকুর রহমান, মিরান মিয়া, গোবিন্দ চন্দ্র রায় প্রমুখ।