বিজ্ঞাপন দিন

চাকুরী স্থায়ীকরনের জন্য সেকায়েপ এসিটিদের জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন

জল ডেস্ক :চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে প্রায় ৬ হাজার অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) মানববন্ধন করেছেন। রোববার (২৬শে নভেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এসিটি শিক্ষকরা এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এসিটি এসোসিয়েশনের সভাপতি কৌশিক চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুন হোসেনসহ এসোসিয়েশনের একাধিক নেতৃবৃন্দ। এসিটি শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) সাধারণ সম্পাদক ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারি কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু। 

অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, এই সরকার শিক্ষা বান্ধন সরকার। এসিটি শিক্ষকদের অবদানের কথা বিবেচনা করে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। মানববন্ধনে অন্যান্য বক্তারা বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকায়েপভুক্ত প্রতিষ্ঠানে এসিটি শিক্ষকদের মাধ্যমে প্রতি মাসে নিয়মিত ক্লাসের বাইরে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কমপক্ষে ১৬টি ক্লাস নেয়া হয়। এতে শিক্ষার্থীদের গণিত, ইংরেজি ভীতি কমেছে। এছাড়া বিষয়ভিত্তিক মান ও প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি, ঝড়া পড়া রোধ হয়েছে। অতিরিক্ত ক্লাস নেয়ায় প্রাইভেট পড়া বা কোচিং করার প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে। এককথায় এসিটি শিক্ষকরা শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই সেকায়েপভুক্ত এসিটি শিক্ষকদের মেয়াদ চলতি বছরের ডিসেম্বরেই শেষ হবে। কিন্তু নতুন মেয়াদে এসব শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া হবে কি না তাও নিশ্চিত না। তাই তারা বেকার হয়ে পড়ার আশংকায় রয়েছেন বলে জানান। তাদের দাবি, চুক্তি ভিত্তিক ৩ বছর মেয়াদে এসিটি শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া হলেও, প্রকল্পের সফলতার উপর এসিটি শিক্ষকদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্তি বা স্থায়ীকরণের বিষয়টি এসিটি ম্যানুয়ালে ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উল্লেখ রয়েছে। বাংলাদেশ এসিটি এসোসিয়েশন, নীলফামারী জলঢাকা উপজেলা কমিটিবৃন্দ জাতীয় প্রেসক্লাব মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করেন এবং কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনে কৌশিক-মামুন প্যানেলকে সমর্থন দিয়েছেন বলে জলঢাকা উপজেলা প্রচার সম্পাদক মিসবাহ-উল হক নিশ্চিত করেন।