বিজ্ঞাপন দিন

"মাধ্যমিকে সেডাপ প্রোগ্রাম চালুর প্রক্রিয়া কালক্ষেপণে হতাশ জলঢাকার এসিটিরা

জল ডেস্ক: শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত "সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি এক্সেস এনহাসমেন্ট প্রোজেক্ট (সেকায়েপ)" ২০০৮ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বিশ্ব ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। এই প্রকল্পে মোট ১২ টি কম্পোনেন্ট বিভিন্ন সেক্টরে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করতো। গ্রাম ও তুলনামূলক কম শিক্ষা হারের জেলা ও উপজেলাধীন এ প্রকল্প শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধির জন্য ২০১৫ সালে অতিরিক্ত শ্রেণী শিক্ষক(এসিটি) নিয়োগ করে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে সেকায়েপ প্রকল্প শেষ হলে পাঠাভ্যাস কর্মসূচি সহ অন্যান্য কম্পোনেন্ট সরকার চালু রাখে কিন্তু নিয়োগপ্রাপ্ত এসিটি শিক্ষকদের বিষয়টি আজও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ঝুলে আছে। এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন একটি প্রোগ্রাম Secondary Education Development Program (SEDP) -তে এই শিক্ষকদের রাখার আশ্বাস দিয়ে রেখেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যদিও কিছুদিন আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদ "দৈনিক আজকালের খবর"-কে বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন (জিও) এর মাধ্যমে নতুন SEDP প্রোগ্রামে শিক্ষকদের বহাল রাখা হবে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। কিন্তু Government Order (GO) প্রকাশে কালক্ষেপন করায় হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন নীলফামারী জলঢাকা উপজেলা সহ সারা বাংলাদেশের এসিটি শিক্ষকেরা। এদিকে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, জলঢাকা উপজেলা সভাপতি ও বিন্নাকুড়ি বিসি সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মহসীন আলী বললেন, "আমার স্কুলে অবসরজনিত কারনে শিক্ষক সংকট, আবার নতুন বছরের শুরুতেই ৩ জন এসিটি শিক্ষকদের এই অবস্থা, তাতে আমার প্রতিষ্ঠান চালানো অসম্ভব হয়ে যাবে। তাই অতি দ্রুত এসব বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেধাবী শিক্ষকদের প্রোগ্রামে নয় সরাসরি স্থায়ী করা হোক।" অপরদিকে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক সমিতি, জলঢাকা উপজেলা সভাপতি ও গোলমুন্ডা ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ হাফেজ ফয়জুল আনাম সিদ্দিকী বলেন, "সেকায়েপ,শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ নাকি এসিটি শিক্ষকদের আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে বলেছে, তার মানে তারা ক্লাসে যাবে কিনা এমন কোন লিখিত চিঠি/মেইল আমাদের কাছে আসে নাই। ক্লাসে গেলে তাদের পারিশ্রমিক অবশ্যই দিতে হবে এমতঅবস্থায় এসিটিদের শ্রমের মূল্য নিশ্চিত ছাড়া তাদেরকে কলুর বলদ বানানো আমাদের কিংবা মন্ত্রণালয়ের সমীচীন হবে না"। বাংলাদেশ এসিটি এসোসিয়েশন, জলঢাকা উপজেলা শাখার মাসিক বৈঠক ২১ জানুয়ারি ২০১৮ইং তারিখ বিকেলবেলা জলঢাকা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এসিটিদের দিকনির্দেশনা মূলক পরামর্শ ও প্রতিষ্ঠানে এসিটিদের সকল কার্যক্রম চলমান রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ তমিজার রহমান, সাধারন সম্পাদক মোকছেদুর রহমান সাগর, প্রচার সম্পাদক মিসবাহ-উল হক। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মিজানুর রহমান, লুবনা ইয়াসমিন, বিমল শর্মা, সাদেকুর রহমান, কর্ন কুমার রায় প্রমুখ।