বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় দুর্গা মন্দির ও স্কুলের জায়গা উদ্ধার

বাদশাহ শাহজাহান,ভ্রাম্যমান সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর জলঢাকায় ইউ'পি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুর্গা মন্দির, স্কুল ও হাটের খাস জমি উদ্ধার করেন । এবং জমির প্রকৃত মালিককে তা বুঝিয়ে দেওয়ায় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাঃ রাশেদুল হক প্রধান। উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নেকবক্ত বাজার কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দির ও নেকবক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অাসে পাশের জায়গা এলাকার কিছু চিহ্নিত প্রভাবশালী ভূমিদস্যু দীর্ঘদিন থেকে অবৈধ্য ভাবে দখল করে গোডাউন এবং দোকান ঘর নির্মান করে ব্যবসা করে অাসছিল। বৃহঃস্পতিবার (৪ডিসেম্বর) সকালে নেকবক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লায়লা বেগম জলঢাকানিউজকে জানান, "স্কুলের বিল্ডিং এর উত্তর-দক্ষিন দুই পার্শ্বে ওয়াল ঘেঁসে একটি প্রভাবশালী মহল অবৈধ্য ভাবে জোর পূর্বক গোডাউন ও দোকান ঘর তুলে দখলে নিয়েছিল।

প্রতিবাদে অামরা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগে করেছিলাম। তিনি অারও জানান, ইউএনও স্যারের হস্থক্ষেপে স্কুলের জায়গা উদ্ধার এবং শিক্ষার্থীদের খোলামেলা পরিবেশে বিনোদনের সুযোগ সৃস্টি হওয়ার অামরা স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ"। ডাউয়াবাড়ী ইউ'পি চেয়ারম্যান রোকনুজ্জান খোকন জলঢাকানিউজকে জানান, "সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন অবৈধ্য ভাবে দুর্গা মন্দির, স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াতের রাস্তা এবং হাটের জায়গায় দখল করে নিয়েছিল। মন্দির কমিটি এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও স্যারের সহযোগিতায় অাজকে অবৈধ্য দখল মুক্ত করা সম্ভম হয়েছে।

তিনি অারও জানান,উদ্ধারকৃত জায়গায় সারিবদ্ধ ভাবে ৪২টি দোকান ঘর বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। তারা নিজেরাই নিজ খরজে ঘর নির্মান করেন। এতে ব্যবসা করে তাদের পরিবার পরিজনের রুটি রুজির ব্যবস্থা হয়েছে"। উপজেলা নির্বার্হী অফিসার মুহাঃ রাশেদুল হক প্রধান জলঢাকানিউজকে জানান, দুর্গা মন্দির, স্কুলসহ অাসে পাশের জমি অবৈধ্য দখলে ছিল। ইউনিয়ন পরিষদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই জায়গা উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠান গুলোকে ফিরিয়ে দিয়েছি। অার হাটের জায়গায় দোকান ঘর নির্মান করে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।