বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারী সদর উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই ছাত্র/ছাত্রীদের নিত্যদিনের ভোগান্তি ।

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সদর উপজেলার ৮নং পঞ্চপুকুর ও ইটাখোলা ইউনিয়নের চিনিরকুটি বাজার এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া যৌবনেশ্বরী নদীর উপরে বাঁশের সাকোঁয় স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী ও গ্রাম বাসীদের ঝুকিঁ নিয়ে চলতে হচ্ছে নিয়মিত পারাপার । সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,ইউনিয়ন দুইটির কয়েকটি গ্রামের জনসাধারন ও কমল মতি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র পথ নদীর উপরে বাঁশের সাকোঁ । যা যুগের পর যুগ চলছে,পরির্বতনের কোন বালাই নেই । কোন কোন বছর পারাপারের একমাত্র সাকোঁটি বন্যার পানীতে ভেসে যায় । সাকোঁটি নদীর পানীতে ভেসে গেলে ,ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় । সোমবার ২৮ জানুয়ারী সকালে সরেজমিনে গিয়ে,কানিয়াল খাতা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সাঞ্জনা নাঈম, দয়াল চন্দ্র রায় ও নবম শ্রেনীর বরাত হোসেন জানায়,বর্ষায় বাঁশের সাকোঁটি ভেঙ্গে গেলে প্রায় ৪ কিলোমিটার ঘুড়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। 


নদীর তীরে অবস্থিত চিনিরকুটি বাজার। এ বাজারে ব্যবসায়ী প্রতিষ্টানসহ,কানিয়ালখাতা দ্বি মুখী উচ্চ বিদ্যালয় এবং কানিয়ালখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কানিয়ালখাতা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র রায় জানান,আমরা স্কুল শুরু ও ছুটির সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পারাপারের সময় দুঃচিন্তায় থাকি ,কখন অনাকাংখিত ঘটনা ঘটে যায়। ভাঙ্গাচুড়া বাঁশের সাকোঁটি নরবরে হওয়ায় নদীর ওপারের বেশীর ভাগ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। এ ছাড়া ওই এলাকার ফজলুল করিম শাহ, আশরাফ আলী পরামানিক,গোপাল চন্দ্র রায়,বিকাশ চন্দ্র রায়,পরিমল চন্দ্র রায় ও আবুল হোসেন জানান,,বর্ষা গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই নদী পারাপার হতে হয়,কখনো কখনো বাশেঁর সেতুটি ভেঙ্গেঁ যায় তখন নদীতে জলে ভিজে পারাপার হই । 

তাতেও দুঃখ নেই কিন্তু দুঃখ তখন হয় তখন যখন কোন মূমুর্ষ রোগীর জন্য এম্বুলেন্স বা গাড়ীর প্রয়োজন হয় তখন নদীতে ব্রীজ না থাকার কারনে গ্রামে এম্বুলেন্স বা গাড়ী ঢুকতে পারে না। অনেকদিন ধরে আমরা এই নদীর উপর ব্রীজ নির্মানের দাবী জানালেও অদ্যাবধি ব্রীজ নির্মান হয়নি। ব্রীজ নির্মান বর্তমানে এ এলাকার প্রানের দাবীতে পরিনত হয়েছে। এ ব্যাপারে,৮নং পঞ্চপুকুর ইউ,পি চেয়ারম্যান হবিবর রহমান সরকার জানান,এলাকাবাসী ও ছাত্র-ছাত্রীদের কথা চিন্তা ভাবনা করে নীলফামারী-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুরের সাথে কথা হয়েছে তিনি নদীর উপড়ে দ্রুত ব্রিজ নির্মান করার ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু আশায় বুকে বেধে থাকি, এখন পর্যন্ত ব্রীজ নির্মানের কোন নমুনা আমি ও এলাকাবাসী দেখেনি। তিনি আরো বলেন, এমপি সাহেব যখন মন্ত্রী ছিলেন তখন থেকে কথা দেয়, কিন্তু আদো ব্রীজে নমুনা পাইনি। জেলা এলজিইডি নির্বাহী ও উপজেলা প্রকৌসুলীর কাছে যোগাযোগ করা হলে, কিন্তু ব্রীজ নির্মানের বিষয় আশারুপ কিছুই বলতে পারবোনা এমপি সাহেব ব্যাপার। 

আমি আপনাদের (সাংবাদিক)মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন যেন দ্রুতগতিতে এই ব্রীজটি নির্মান করে কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রীরাসহ সাধারণ মানুষের চলাচলের ভোগান্তির হাত থেকে উদ্ধার করে। এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে আমি বার বার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছি । সদর উপজেলা প্রকৌশল কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, রংপুর বিভাগ উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের আওতায় এ অর্থ বছরেই ব্রীজের কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশা করেন । এ ব্যাপার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভুইয়া, মোবাইল ফোনেে বলেন, এ ব্রীজের বিষয় এমপি মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে, অতি তাড়াতাড়ি আমরা সুফল পাবো।