বিজ্ঞাপন দিন

ববিতা রানী সরকারকে সংরক্ষিত আসনে ------------দেখতে চায় নীলফামারীবাসী

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটে বিজয়ের পর নব-নির্বাচিত এম পি মন্ত্রীদের স্বপথ গ্রহন অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই শুরু হলো নারী সংরক্ষিত আসনের জন্য মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়-ঝাপ। এ দৌড়-ঝাপে পিছিয়ে নেই নীলফামারী- ৩ আসনের মনোনয়ন বঞ্চিত ববিতা রানী সরকার। তিনি নিজ জন্ম ভূমি, তথা জলঢাকা নির্বাচনী এলাকায় প্রচারনার মধ্য দিয়ে মহাজোটের স্বাম্ভব্য প্রার্থীর হওয়ার জন্য এলাকায় পোস্টার,বিলবোর্ড ও ফেস্টুন লাগিয়ে জনসংযোগ চালিয়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও ২০০১ সালের ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পাওয়া বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং বিন্যাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রয়াত নেতা বাবু দীপন্দ্রনাথ সরকার (দীপু বাবু)এর দ্বিতীয় কন্যা। তিনি ১৯৭৫ সালে ৯ জুন জন্ম গ্রহন করেন । তিনি বিভিন্ন বিষয়ের উপরে মাস্টার্স পাশ করেন। শিক্ষা জীবন থেকে বাবদ হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন । বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শিক্ষ ও গবেষনা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদিকা। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিজনেস মেনেজমেন্ট ফ্যাশন ডিজাইনের উপর বিভিন্ন কোর্স করে এবং ট্রেইনার হন। নারী উদ্যোক্তা হিসাবে উত্তরবঙ্গের ৮টি জেলায় তার রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। সিন্ধু দীপ নামে একটি কোম্পানি রয়েছে তার । সেখানে কয়েক হাজার মানুষ কর্মসংস্থান পেয়েছে। তার স্বামীর নাম অমরেন্দ্র বিশ্বাস। তিনি সোনালী ব্যাংকের একজন ডিজিএম। আর একটি ছেলে রয়েছে,তার নাম রাহুল বিশ্বাস,সে ইঞ্জিনিয়ার উচ্চতর ডিগ্রি লাভের জন্য অষ্ট্রেলিয়ায় অধ্যায়নরত আছেন । তার পিতার সপ্ন ছিলো জলঢাকা উপজেলাকে মডেল উপজেলায় পরিনত করার। তাই পিতার সপ্নকে বাস্তবায়ন করার অঙ্গিকারবদ্ধ,যার ফলে তিনি এই আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ,মহাজোটগত ভাবে নির্বাচন করায়,জাতীয় পার্টিকে চুড়ান্ত মনোনয়ন দিলে তিনি পিছিয়ে পড়েন । মনোনয়ন না পাওয়ার বেদনা বুকে নিয়ে নীলফামারীর চারটি আসনের মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী পথসভা ও গ্রামে গঞ্জে প্রচারনা চালাতেন। গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট বিজয় লাভ করে । এরপর ৩ জানুয়ারি নবনির্বাচিত সাংসদদের শপথ অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যেই স্বপথ নতুন মন্ত্রীদের। এখন শুরু হয়েছে নারী সংরক্ষিত আসনে ফরম বিক্রী। দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছে আওয়ামী লীগের মহিলা নেত্রীরা। নারী সমাজের অহংকার ববিতা রানী সরকারকে নারী সংরক্ষিত আসনের এম পি হিসাবে দেখতে চায় নীলফামারী জেলাবাসী। শুক্রবার সরেজমিনে ঘুরে,নাম না বলা সর্তে,জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের অধিকার বঞ্চিত নেতাকর্মীরা জানান,ববিতা রানী সরকার কে মহিলা সংরক্ষিত আসনে মনোনীত করে উপজেলাসহ জেলার সুবিধা বঞ্চিতদের বিত্তহীনতা থেকে মুক্তি পাবে । এছাড়াও উপজেলা যুবলীগ নেতা রুহাত ফারুক, রিপন, বাবু বকুল সরকার, যুবলীগ নেতা মুছা আলী ,রেজাউল করিম বাবু, তাতিলীগ নেতা রাকিব হাসান ও রাজু আহমেদসহ অনেকেই দাবী জানান নীলফামারী জেলা থেকে সনাতনী হিন্দু ধর্মের এই নেত্রীকে নারী সংরক্ষিত আসনে এম পি নির্বাচিত করলে অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বেকারত্ব দুর হবে বলে তারা জানায় ।