বিজ্ঞাপন দিন

চিকিৎসক সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত

ভ্রাম্যমান সংবাদদাতা ঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও হাসপাতালটিতে ১৩ জন্য চিকিৎসকের বিপরীতে সেখানে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৩ জন চিকিৎসক, নেই কোন আধুনিক যন্ত্রপাতি, প্রায় সারে ৩ লাখ জনসংখ্যার জন্য একটি মাত্র সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম ক্ষেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে, এতে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা, চরম ভোগান্তিতে রোগীরা। অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ সালের ২৯ জুন হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যার ঘোষনা করা হয়েছে। কিন্তু অদ্যাবদি ৫০ শয্যা হাসপাতালের কোন পদ সৃজনের অনুমোদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় হতে মিলেনি। এছাড়াও জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী), জুনিয়র কনসালটেন্ট (এ্যানেসথেসিয়া), জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন), জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারী) ও জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) সহ মোট ৫টি কনসালটেন্টের পদ থাকলেও সবগুলো পদেই শূন্য রহিয়াছে দীর্ঘদিন থেকে। একটিমাত্র এ্যাম্বুলেন্স, সেটি ১৯৯৭ সালে সরবরাহ করা হয়েছিল, বয়সের ভারে বেশির ভাগ সময় বিকল হয়ে পড়ে থাকে। এক্স-রে ও ইসিজি মেশিনদীর্ঘ থেকে নষ্ট হয়ে পরে আছে। নেই কোন আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন। অপারেশনের জন্য নেই কোন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মেশিন। মোট কথা আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার কোন ছোঁয়া লাগেনি হাসপাতালটিতে। অবহেলিত এ অঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় ডাক্টার ও চিকিৎসার আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবিজানান ভুক্তভোগিরা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ মেজবাহুল হাসান চৌধুরী ডাক্টার সংকটের বিষয়ে মানবজমিনকে বলেন, ডাক্টার প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম এটি দীর্ঘ দিনের সমস্যা। চিকিৎসার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় আপারেশন থিয়েটার চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়য়ে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।