বিজ্ঞাপন দিন

ডোমারে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ

রতন কুমার রায়,ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ-নীলফামারীর ডোমারে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে ৪টি পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে,ডোমার উপজেলার পাঙ্গামটুকপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মৌজাপাঙ্গা গ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম,ইয়াছিন আলী,সামছুল হক ও মফিজার রহমান দীর্ঘ ৩৭বছর ধরে সেখানে বসবাস করে আসছে। পরিবার গুলোর যাতায়াতের জন্য বাড়ী থেকে রাস্তায় উঠা পর্যন্ত প্রায় ৫০০ফিট কাঁচা রাস্তা রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাস্তাটির মাঝখানে প্রায় ৩০ফিট রাস্তা কেটে সেখানে রোয়া রোপন করে বাঁশের কঞ্চি পুতে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম জানান,আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে আসছি।একই গ্রামের কালা মামুদের ছেলে মকবুল হোসেন ও তার দুই ছেলে ওই জায়গাটুকু তাদের নিজের দাবী করে কেটে নিয়ে সেখানে বোরো ধানের রোয়া লাগিয়ে বাঁশের আগাল পুতে রাখে। 

এ বিষয়ে আমি গত ১৫জানুয়ারী ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একখানা লিখিত অভিযোগ করি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য পাঙ্গামটুকপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেলায়ার হোসেনকে নির্দেশ দেন। অভিযোগ করার একদিন পর মকবুল হোসেনের ছেলে হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ১৭জানুয়ারী আমি আমার মা, বাবা, ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী,আমার স্ত্রী এবং সন্তানসহ ৭জনকে বিবাদী করে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের দুটি নোটিশ দিলেও তারা ইউনিয়ন পরিষদে যাননি। শফিকুল ইসলাম আরো জানায়,রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ায় আমরা ৪টি পরিবারের ৩৪জন সদস্য চলাচলের চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েছি। আমরা চলাচল করতে পারছি না। বাড়ী থেকে বেরও হতে পারছি না। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না।রাস্তার ওই অংশে দু দফায় সাড়ে ১২ শতাংশ জমি আমার কেনা রয়েছে। তারা গায়ের জোরে রাস্তাটি কেটে নেয়। উভয় পক্ষের দুটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।এ ব্যাপারে মকবুল হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম জানান,রাস্তার ওই জায়গা আমাদের জমি।তাই কেটে নিয়ে রোয়া লাগিয়েছি। পাঙ্গামটুকপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন জানান,মকবুল তার নিজের জমি দাবী করলেও কোন কাগজপত্র দেখায়নি।