বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারীর মেয়ে দিয়া সিদ্দিকী পেল আইএসএসএফ আর্চারিতে মেয়েদের রিকার্ভ এককে স্বর্ণ পদক

আব্দুল মালেক,নীলফামারীঃ নীলফামারীর মেয়ে দিয়া সিদ্দিকী পেল আইএসএসএফ আর্চারিতে মেয়েদের রিকার্ভ এককে স্বর্ণ পদক। বাংলাভিশন টিভির নীলফামারী জেলা প্রতিনিধির মেয়ে দিয়া সিদ্দিকী। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দিয়া সিদ্দিকীর দুইভাই, সে পরিবারের একাই মেয়ে এবং পরিবারের মধ্যে সে বড়। দিয়া সিদ্দিকী শিক্ষা জীবনে আনন্দ নিকেতন মডেল স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে এবং নীলফামারী নীলফামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেনিতে অধ্যায়নরত ছিল। পরে ২০১৬ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদেও ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে ৮ম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ লাভ করে। দিয়াসিদ্দিকী সাথে ফোনে কথা বলে জানান “ আমি নিজেও বুঝতে পারিনি এভাবে আর্চারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ব। ভাগ্যে থাকলে যা হয় আর কি। হঠাৎ করেই আর্চারিতে এসেছি। নীলফামারী গার্লস হাই স্কুলে পড়ার সময় শারীরীক শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক খায়রুল ইসলাম আমার উচ্চতা দেখে আর্চারিতে আসতে বললেন। ওখানে ট্রায়ালেটি করলাম। এর পর ১০ দিনের অনুশীলন কওে বিকেএসপিতে এসে ট্রায়ালে টিকে গেলাম। ভর্তি হলাম অষ্টম শ্রেণিতে। “ দিয়া সিদ্দিকী আরো বলেন, এর আগে কোনো দিন কোনো সোনার পদক জিতি নাই। ভালো লাগছে। উত্তেজনা কাজ করছে। এটাই আমার প্রথম আন্তর্জাতিক পদক। ফাইনালে খেলতে নামার আগে একটু ভয় করছিল। মনে হচ্ছিল পারব কিনা। শরীর কাঁপছিল। ভয় লাগছিল। কারণ এটা আমার প্রথম আন্তর্জাতিক গেম। ইরানের প্রতিযোগীও কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল। তবে অনুশীলনে আমি ভালো করেছিলাম। তাই আত্মবিশ্বাসও ছিল ভালো করার।” দিয়া সিদ্দিকীর এই অর্জনের বিষয়ে তার বাবা নুর আলম সিদ্দিকী বলেন, “ দিয়ার এই অর্জনে আমরা গর্বিত । আর নীলফামারীর মেয়ের এই স্বর্ণ পদক অর্জন নীলফামারীবাসীর জন্য গর্বের বিষয়। পরে তিনি বিকেএসপি ও আর্চার ফেডারেশন এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। তার বাবা আরো জানান, “ তার মা মেয়ের এই অর্জনের কথা শুনে খুশিতে আত্মহারা হয়ে রাতে খেতে ভুলে গেছে।”