বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারী সদরে সান্তনা চক্রবর্তীর মনোনয়ন বৈধ হওয়ায় ভোটারদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সান্তনা চক্রবর্তীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেছে জেলা আপিল বিভাগের বিচারক জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন । এর আগে তা বাতিল করে তিন দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ দিয়েছিলেন রির্টানিং কর্মকর্তা। পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে নীলফামারী জেলার ৬ উপজেলা নির্বাচনে তিন পদে মনোনয়ন জমাদানের শেষ দিন ছিলো গত ১১ ফেব্রুয়ারী সোমবার । বাছাই যাচাই ছিলো ১২ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বিকালে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে । বাছাই পর্ব অনুষ্ঠানে জেলার বেশ কয়েকজন প্রার্থীর বিভিন্ন ত্রুটির কারণে তাদের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন । পরে জেলা প্রশাসক বরাবরে আপিল করতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা । নীলফামারী সদর উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এরা হলেন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী, সান্তনা চক্রবর্তী ও জেসমিন আক্তার সাথী । বাছাই পর্বে ভোটারের তথ্যের ত্রুটি থাকার কারনে সান্তনা চক্রবর্তী ও জেসমিন আক্তার সাথীর মনোনয়ন বাতিল হয়। মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারী আপিল করে প্রাথীরা । ১৪ ফেব্রুয়ারী সকার আপিল শুনানি হয় । আপিল শুনানি শেষে সান্তনা চক্রবর্তীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বাছাই কমিটি এ ঘোষণা দেয়। সান্তনা চক্রবর্তী জেলা মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে বহাল আছেন তিনি। মনোনয়ন বৈধ হওয়ার পর পরেই তিনি বিভিন্ন ইউনিয়নের দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে গনসংযোগ করছেন । রবিবার সকালে উপজেলার পলাশবাড়ী ও গোরগ্রাম ইউনিয়নে গনসংযোগ করেন । গনসংযোগকালে সান্তনা চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, আমাকে ভয় পায় । নির্বাচন করতে দেবেনা । নির্বাচনে হেরে যাবে বলে ষড়যন্ত্র চলছে আমার উপর । তিনি বলেন, গত নির্বাচনে অংশ নিয়েছি, অনেক অনুরোধ করে প্রতিস্রুতি দিয়েছিল আমার প্রতিপক্ষ, এবারের নির্বাচনে আমার পাশে থেকে নির্বাচন করবে । সে সময় নির্বাচনে প্রচারনা না করেও ৩৮ হাজার ভোট পেয়েছি । এবার পাশে থাকার কথা ছিলো। কিন্তু তা না করে আমাকে নির্বাচন থেকে দুরে রাখার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করছে। সান্তনা চক্রবর্তী সাংবাদিককে আরো জানান, বৈধতা চ্যালেঞ্জের আপিলের শুনানিতে তার মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করে উপজেলাবাসীর কৃতীর্থ করেছে আপিল বিভাগ । কারণ অহেতুক বাছাইয়ের নামে অবৈধ ঘোষণা করায় উপজেলাবাসী হতাশায় পড়েছিল।