বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারীতে ৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের শোক দিবস-২০১৯ পালিত

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীতে ৭১এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস-২০১৯ পালিত হয়েছে। সার্কিট হাউজ জেলা অফিস কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস-২০১৯ উপলক্ষে একটি শোক র্্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ফুল দিয়ে বিন্ম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন একাত্তরের সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সদস্যরা। শোক র্্যালী ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অফিস কার্যালয়ে স্বাধীনতার স্থপতি, বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে তার আত্নার মাগফেরাত কামনা চেয়ে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। অনুষ্টানে নেতৃত্ব দেন একাত্তরের সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক, জেলা শাখার সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের জেলা আহবায়ক মোঃ সফিয়ার রহমান । জেলা সভাপতি সফিয়ার রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৫ সালের শোকাবহ এই কালো রাতের ভোর বেলায় সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সহ স্বপরিবারে সদস্যদের হত্যা করে। 

ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। ঐ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে অবস্থান করায় তারা প্রাণে বেঁচে যান। ঘাতকদের এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে রেহাই পাননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবনেতা ও সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এসময় বক্তব্য রাখেন, একাত্তরে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের জেলা সহ-সভাপতি আনোয়ার শাহ ফকির, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আলী, কার্যকরী সদস্য আলহাজ্ব হান্নান শাহ ও বিভিন্ন উপজেলার সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক গন।