বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় সংবাদ প্রকাশের পর নড়ে চড়ে বসেছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ ॥ ব্যবসায়ীদের নোটিশ প্রদান

ফরহাদ ইসলাম,জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ সরকারি নীতিমালা অমান্য করে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হচ্ছে তরল পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাস সিলিন্ডার। ওষুধ, পান-সিগারেট,মুদিখানা, এমনকি কাপড়ের দোকানেও অবাধে বিক্রি হচ্ছে এসব গ্যাস সিলিন্ডার। আর এসব অধিকাংশই দোকান মালিক লাইসেন্সের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে ব্যবসা চালাচ্ছে। এছাড়া তদারকির অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও দোকানিরা বিস্ফোরক লাইসেন্স,ফায়ার লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে ঝুঁকির মুখে পড়েছে জনজীবন। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেড় শতাধিক বিভিন্ন প্রকার দোকানে দেদারে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। অথচ এ উপজেলায় এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য ফায়ার লাইসেন্স নিয়েছেন মাত্র ৯ জন ব্যবসায়ীকে। এবং বিস্ফোরক লাইসেন্স রয়েছে মাত্র এক জন ব্যবসায়ীর। সরজমিনে দেখা গেছে, বাজার-বন্দর ছাড়াও অলিতে-গলিতে এখন পাওয়া যাচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে জলঢাকায় যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বেচাকেনা বেড়েছে। তবে বেশিরভাগই লাইসেন্স ছাড়া বিক্রি করছে এ সব গ্যাস সিলিন্ডার। লাইসেন্স ছাড়াই এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হলেও এ উপজেলায় কোনো অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়নি। অবৈধভাবে এলপিজি গ্যাস বিক্রি রোধে এখন দেশব্যাপী অভিযান শুরু করলেও অদৃশ্য কারণে জলঢাকায় কোনো অভিযান পরিচালনা না করায় দিন দিন আরও অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি বাড়ছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকাসহ কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে “ জলঢাকায় যত্রচত্র ভাবে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার’’ এ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশের পর নড়ে চড়ে বসেছে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। লাইসেন্স ছাড়া যে সব দোকানদার/ব্যসসায়ী অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে আসছে তাদের গত ২০ অক্টোবর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ মমতাজুল ইসলাম। নোটিশে ব্যবসায়ীদের ৭ দিনের মধ্যে লাইসেন্স নিতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান,এ সময়ের মধ্যে কেউ লাইসেন্স না নিলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।