বিজ্ঞাপন দিন

"জলঢাকায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে স্কুল ছাত্রী"

রবিউল ইসলাম রাজ,স্টাফ রিপোর্টারঃ নীলফামারীর জলঢাকায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিক মেহেরুল ইসলামের বাড়িতে অনশন করেছে ৭ম শ্রেনির এক ছাত্রী।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পশ্চিম বালাগ্রাম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের টারুয়ার ডাঙ্গা নামক স্থানে।সরেজমিনে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানা যায়,ওই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে ও চাওড়াডাঙ্গী স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেনির ছাত্র মেহেরুল ইসলামের একই গ্রাম ও স্কুলের ৭ম শ্রেনির এক ছাত্রীর সাথে প্রায় এক বছর থেকে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসে। ওই ছাত্রী পাশের বাড়ি মইনুল হকের মেয়ে।২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাড়ি ফাকা পেয়ে ছাত্রীকে পড়ার টেবিল থেকে জোরপূর্বক বের করে বাড়ির উঠানে ধর্ষনের চেষ্ঠা চালায়। এসময় মেয়েটির মা আসলে ছেলেটি পালিয়ে যায়। পরে মেয়ের মা স্থানীয় মাতব্বরদের বিষয়টি জানায়। গ্রাম্য মাতব্বররা বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়ার কথা বলে বিয়ের যৌতুকের নামে মোটা অঙ্গের টাকা দাবি করে।মেয়ের বাবা রিক্সাচালক হওয়ার এতগুলো টাকা দিতে ব্যর্থ হলে বিষয়টি অমীমাংসিত থেকে যায়। এমন পরিস্থিতি বুঝে মেয়েটি ২৩ অক্টোবর রাতে বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়িতে অবস্থান নেয়। পরেরদিন সকাল থেকে বাড়ির আঙ্গিনায় লাগাতার অনশন শুরু করে। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসনের নজরে পড়ে। ২৪ অক্টোবর দুপুরে জলঢাকা থানা পুলিশ অনশনরত স্কুল ছাত্রীকে থানায় নিয়ে আসে। এখন পর্যন্ত জলঢাকা থানা হেফাজতে মেয়েটি আছে। ছেলেটি পালাতক আছে।স্কুল ছাত্রী এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন,মেহেরুলের সাথে তার প্রায় এক বছরের সম্পর্ক।তার সম্বলটুকু দিয়ে দিয়েছে। প্রেমিক মেহেরুল তাকে বিয়ে না করলে আত্নহত্যা করবে বলে জানিয়ছে। এ বিষয়ে জলঢাকা থানা ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান নিশ্চিত করে বলেন,মেয়েটিকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।