বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় আশঙ্কাজনক হাড়ে বাড়ছে ভুয়া শিক্ষার্থী!

ফরহাদ ইসলাম,জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নেই প্রতিষ্ঠানের ঘর কিংবা শিক্ষক। শিক্ষার্থী তো চোখে পড়েনি তারপরেও তাদের বিভিন্ন নামে বেনামে রয়েছে প্রতিষ্ঠান। প্রতি বছর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে পরিক্ষার সময় শিক্ষার্থী ডিআরভুক্ত করেন এসব অস্তিত্ব ও শিক্ষর্থীবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে দিন দিন আশংঙ্গাজনক হাড়ে বাড়ছে ভুয়া শিক্ষার্থী। সম্প্রতি নীলফামারীর জলঢাকায় চলতি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি (পিইসি) ও ইবতেদায়ী পরিক্ষায় এমনি চিত্র উঠে এসেছে পরিক্ষা কেন্দ্রগুলোতে। এসব অনিয়মের মুলে রয়েছে ইবতেদায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। আর এ সকল প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা না নেওয়ার কারনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকসহ সচেতন মহল। উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পিইসি পরিক্ষা চলাকালে শতাধিক ভুয়া পরিক্ষার্থীকে আটক করে পরবর্তী পরিক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ এবং তাদের প্রত্যেকের কাছে মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এসময় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাগন ওইসব শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা বিভিন্ন স্কুলে ৬ ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত বলে স্বীকার করে। তারা আরও জানান, মাদ্রাসার শিক্ষকরা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের পরিক্ষা দিতে বাধ্য করেছেন। আর এসব শিক্ষর্থী বিভিন্ন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার হয়ে পরিক্ষা দিয়েছিল। এর মধ্যে গত ১৮ নভেম্বর উপজেলার কাঁঠালী ইউনিয়নের উত্তর দেশীবাই নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উত্তর দেশীবাই ইসলামীয়া কছিমিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার হয়ে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরিক্ষায় প্রক্সি পরিক্ষার্থী হয়ে অংশ নিচ্ছিল ৮ জন, চিড়াভিজা গোলনা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গোলনা ইউনিয়নের ১০ টি মাদ্রাসার ১১৮ জন শিক্ষার্থী ইবতেদায়ী শাখায় অংশগ্রহন করেছিল এর মধ্যে ২০ নভেম্বর ৮০ জন ভুয়া শিক্ষার্থীকে আটক করে কেন্দ্র সচিব। একই অভিযোগে ওই দিন শৌলমারী উচ্চ-বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬ জন ভুয়া পরিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। ওই ৬ন শিক্ষার্থী সদ্য জাতীয়করনকৃত পুরান তিস্তা বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হয়ে পরিক্ষায় অংশগ্রহন করছিল বলে জানান,কেন্দ্র সচিব আব্দুল বাকী। তবে এত অভিযোগের পরেও কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অদ্ধবদি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশে একাধিক শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসের সাথে যোগাযোগ করে প্রতি বছরেই অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকিয়ে রাখতে শিক্ষার্থী যাচাই-বাচাই না করে ডিআর এ অন্তর্ভুক্ত করে পকেট ভারি করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুর মোহম্মাদ বলেন,‘‘ অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে আগামীতে ডিআরভুক্ত হতে না পারে সে জন্য ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে।’’