বিজ্ঞাপন দিন

ডোমারে শীত নিবারণে,শীতের গরম কাপড় কিনতে ক্রেতাদের ভীড়

রতন কুমার রায়,ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধি: পৌষের শুরুতে জেঁকে বসেছে শীত। টানা কয়েক দিনের হালকা শৈত প্রবাহে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবন বিপর্যয়। শীত নিবারণে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার হাট-বাজারের ফুটপাতের দোকান গুলোতে শীতের গরম কাপড় কেনা-বেচায় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড় দেখাযায়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেনা কাটায় ভীড় লেগেই আছে। তিল পরিমান জায়গা নেই ফুটপাতের দোকানগুলোতে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সোয়েটার,ব্লেজার,ট্রাউজার,জ্যাকেট,চাঁদর,কানটুপিসহ নানা ধরনের শীত বস্ত্রের চাহিদা। কম দামে বিভিন্ন ধরনের শীত পোশাক পাওয়া যাচ্ছে ডোমার উপজেলার ফুটপাতে দোকানগুলোতে। গার্মেন্টসের কাপড়ের তুলনায় দাম কম হওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনেরা বেশি ভিড় জমাচ্ছে ফুটপাতে দোকানগুলোতে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ডোমার রেল ঘুন্টির মোড় এলাকায় রেল লাইনের দুই ধারের ফুটপাতে দোকানগুলোতে দেখাযায় পুরাতন শীতের পোশাকের পশরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। বাহারী ডিজানের বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এবার শীতের পোশাকের মধ্যে ক্রেতাদের চাহিদা উলের তৈরী কাপড়ের । উলের কাপড়ে গরম বেশি থাকায় চাহিদা বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই। ফুটপাতের বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ফুটপাতে উলের সোয়েটারের দাম পাচ্ছে ক্রেতারা ১০০ থেকে ৩০০ টাকায়। জ্যাকেট ১৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। ফুলহাতা গেঞ্জি ও ব্লেজারের দাম ৫০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত। শীতের পোশাক কিনতে আসা গোমনাতী ইউনিয়নের বাসিন্দা শেফালী বেগমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, অনেক খুজাঁ খুজির পর আমার ছেলে মেয়েসহ পরিবারের লোকজনের জন্য সোয়েটারসহ কয়েকটি শীতের কাপড় কিনেছি। এবং নিজের জন্য একটি উলের সোয়েটার কিনেছি। শীত বেশি পড়ার কারণে দোকানীরাও দাম বেশি চাচ্ছে। অনেক দর-দামের পর ট্রাউজার ৩টি কিনেছি ৩০০ টাকায় ও আমার শ্বাশুরীর জন্য ১টি সোয়েটার কিনেছি ১২০টাকায়। অন্য সময় এগুলো ৬০-৭০টাকায় পেতাম। আমরা স্বল্প আয়ের মানুষ। কম দামে ভালো কিছু কাপড় পাওয়া যায় ফুটপাতে। তাই আমাদের শেষ ভরসা ফুটপাতই। জোড়াবাড়ী ইউনিয়ন থেকে আসা কৃষক মমতাজ উদ্দিন জানান, আমার ৬ মাস বয়সের শিশু ছেলে রয়েছে। শীতের আভাসের জন্য চলে এসেছি ছেলের জন্য গরম পোশাক কিনতে । মহমায়া রানী বলেন,শীত তো এসেই পড়েছে। সকাল ও রাতে ভালোয় শীত পড়ছে। শিশুদের তো গরম কাপড় লাগবেই। তাই গরম পোশাক কিনতে আসলাম । শিশুদের পোশাকের দাম গার্মেন্টসের থেকে অনেক কম।কথা হয় বিক্রেতাদের সাথেও। ফুটপাতের দোকানী জাকির বলেন, দুই দিন ধরে বেচা কিনা ভালো হচ্ছে। সবাই উলের কাপড় বেশি কিনছেন। অন্যান্য পোশাক আছে কিন্তু তার থেকে উলের কাপড় মহিলারা বেশি কিনছে। আরেক বিক্রেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, পোশাকগুলোর মূল্য কম হওয়ার কারন আমরা এইগুলো সরাসরি ঢাকার বিভিন্ন পুরাতন কাপড়ের মার্কেট থেকে গাইড হিসেবে নিয়ে আসি। আমরা কম দামে পাই তাই অল্প লাভ নিয়ে বিক্রি করি। ফুটপাতের দোকানগুলোতে বড়দের পোশাকের তুলনায় বেশি বিক্রি হচ্ছে ছোটদের পোশাক। শীতের পোশাকের মধ্যে ক্রেতাদের পছন্দের মধ্যে রয়েছে, চেন বা বোতাম দেয়া সোয়েটার ,জ্যাকেট,টি-শার্ট,ব্লেজার ইত্যাদি। আরো ছিল কার্টুন চরিত্রের বাচ্চাদের বিভিন্ন টুপি। হাতের কাজের বিভিন্ন ডিজাইনের শালের কালেকশনও ছিল লক্ষণীয়। এছাড়া বিভিন্ন রকমের কম্বল ও নকশীকাঁথা বিক্রি করতে দেখা যায়।