বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় হেলাল লাইব্রেরী থেকে কেজি স্কুলের বইগুলো কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের

বজলুর রশিদ জল ডেস্ক ; এনসিটিবির নিয়ম মানছে না স্কুলগুলো ,প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বাইরে নিয়মবহির্ভূত বেশি বই পড়তে বাধ্য করছে স্কুলগুলো। জলঢাকায়, বিশেষ করে নামকরা বেসরকারি স্কুল ও কিন্ডারগার্টেনে এমন ঘটনা বেশি হচ্ছে। শিক্ষানীতির আলোকে শিক্ষার্থীর বয়স ও ধারণক্ষমতার কথা বিবেচনা করে কোন শ্রেণির জন্য কয়টি বই ও শিক্ষাক্রম কী হবে, তা ঠিক করে এনসিটিবি। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে এনসিটিবি-নির্ধারিত তিনটি বই হলো বাংলা, ইংরেজি ও গণিত। এই তিনটির সঙ্গে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত রয়েছে আরও তিনটি বই। এগুলো হলো বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, প্রাথমিক বিজ্ঞান এবং ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা। জলঢাকায় অন্তত ১০ জন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এনসিটিবির তালিকার বাইরে আরও দুই থেকে আটটি বাড়তি বই পড়তে হচ্ছে শিশুদের। এই তালিকায় বাংলা ও ইংরেজি ব্যাকরণ বই বেশি। এর বাইরে ধর্ম, সমাজ, বিজ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান, অঙ্কন, হাতের লেখা শেখা বই রয়েছে। 

বাড়তি বই আবার বেশি দামে জলঢাকা হেলাল লাইব্রেরী থেকে কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। বাধ্য করা স্কুলগুলো হচ্ছে- দি মুন মডেল কেজি স্কুল,বর্ণমালা ক্রিয়েটিভ স্কুল এন্ড কলেজ,জলঢাকা কোয়ালিটি স্কুল ও বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল । দি মুন মডেল কেজি স্কুলের একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক দেলোয়ার হোসেন বলেন,কেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ নির্দিষ্ট প্রকাশক ও দোকানের সঙ্গে যোগসাজশ করে এসব বাড়তি বইয়ের তালিকা শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকগণ আর্থিক সুবিধা পান।জলঢাকার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর মা বলেন, ১ হাজার ৫০ টাকা দিয়ে বাড়তি বই কিনতে হয়েছে হেলাল লাইব্রেরী থেকে ।হেলাল লাইব্রেরী ছাড়া অন্য লাইব্রেরীতে আপনারা বই গুলো দেন না কেন , এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের অধ্যক্ষ আবেদ আলী বলেন, হেলাল লাইব্রেরীতে ১০০০ টাকা করে নিচ্ছে অন্য লাইব্রেরীতে দিলে তারা ২০০০ টাকা করে নিত ।