বিজ্ঞাপন দিন

ডোমারে এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

রতন কুমার রায়,ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধি: রাত পোহালেই এস,এস,সি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলেছে পরীক্ষার্থীরা। তবে আর কখনোই পরীক্ষা দিতে পারবে না তৃঞ্চা রানী(১৫) নামে এক শিক্ষার্থী। প্রবেশপত্রে শাখা বানিজ্য বিভাগের জায়গায় ভুল করে মানবিক বিভাগ হওয়ায় অভিমানে রবিবার দুপুরে সে তার নিজ বাড়ীর শয়ন ঘরে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তৃঞ্চা রানীর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের বাড়ীতে চলছে শোকের মাতম। জেলার ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বাকডোকরা গ্রামের দধীপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। নিহত তৃঞ্চা রানী বাকডোকরা এলাকার দুলাল রায়ের মেয়ে। তৃঞ্চা রানী মাহিগঞ্চ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তৃঞ্চা রানীর কাকী অলিনদিতা রানী জানান, ৩ ফেব্রুয়ারী থেকে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় সে বাণিজ্য বিভাগ থেকে মাহিগঞ্চ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। তবে প্রবেশপত্রে বাণিজ্য বিভাগের জায়গায় মানবিক বিভাগ হওয়ায় সে স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠান থেকে এসে সকলের অগোচড়ে তার নিজ শয়নঘরে গলায় ওড়না পেচিয়ে স্বরের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। মাহিগঞ্চ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন,গত ২৮ তারিখ বিকাল বেলা প্রবেশপত্র বিদ্যালয়ে আসে। সকল পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র নিয়ে গেলেও তৃঞ্চা রানী প্রবেশপত্র নিতে আসেনি। রবিবার বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। সে অনুষ্ঠান শেষে প্রবেশপত্র গ্রহন করে জানায় তার বিভাগ ভুল এসেছে। আমি তাকে সান্তনা দিয়ে বলি তুমি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করো আমরা বিভাগ পরিবর্তনের চেষ্টা করবো। কিন্তু বাড়ীতে যাওয়ার পরেই সে আত্মহত্যা করে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাকেরিনা বেগম পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান,পরীক্ষা শুরুর একদিন আগে স্কুলে কিভাবে বিদায় অনুষ্ঠান হয়। প্রবেশপত্রটি আগে দিলে অনাকাক্ষিত ঘটনাটি ঘটতো না। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান,এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর পেয়েছি। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে।