বিজ্ঞাপন দিন

এখনও তালা ঝুলছে জলঢাকার ভাবনচুর এম.টি এস উচ্চ বিদ্যালয়ে

মানিক লাল দত্ত, জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর জলঢাকায় বিভিন্ন অনিয়মের জন্য স্কুলকক্ষে ঝোলাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ যারা করেছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার চেয়ে দাবীর কথা উপস্থাপন করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার স্কুল প্রাঙ্গনে গেলে নানান বিষয় নিয়ে বিতর্কিত বাকবিতন্ডা অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলমান রয়েছে। পরে উপজেলা মাধ্যমক শিক্ষা কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার ভৌমিক ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষকদের সতর্ক করেন এবং আগামীতে স্কুলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আশ্বাসের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের তাদের ৭ দফা দাবী তুলে ধরেন। দাবীগুলো হলো-নিয়মিত শিক্ষকদের স্কুলে আসতে হবে, রুটিন অনুযায়ী ক্লাস ও মানসম্মত ক্লাস নিতে হবে, স্কুলের ল্যাবসহ ব্যবহারিক সকল সরঞ্জামাদি থাকতে হবে, বিজ্ঞান শাখার মানসম্মত শিক্ষক, মাঠের উন্নয়ন, বিদ্যুতের ব্যবস্থা, ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্ন করার সুযোগ ইত্যাদি। এসময় আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা জানায়, শিক্ষকরা ঠিকমত ক্লাশ নেয় না। পাঠদানকালে আমরা বুঝিয়ে নিতে চাইলে উল্টো আমাদের বকাঝকা করে ক্লাশ থেকে বের করে দেয়। ৮ম ও ১০ম শ্রেনির কয়েকজন ছাত্রছাত্রী জানায়, প্রতিদিনেই আমাদের শিক্ষকরা দেরী করে স্কুলে আসেন। এসেই বাহিরে চেয়ার নিয়ে বসে রোদের তাপ নেয়। আমরা ক্লাশ নিতে বললে আমাদের উপর চড়াও হন। এদিকে শিক্ষকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ইউনুছ আলী বলেন, আমার মেয়েকে বাড়ীতে ইংরেজি বুঝিয়ে আসতে বলে। তাহলে বুঝেন এই স্কুলে কেমন লেখাপড়া হয়? ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রশিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ক্লাশ না নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় আমি বেতন বিলে স্বাক্ষর করি নাই। ভাবনচুর এম.টি এস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান টিপু বলেন, ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন যৌক্তিক। তবে আমাদের কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। ঠিকমত ক্লাস না হওয়া প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক বলেন, এসএসসি পরীক্ষা চলমান থাকায় এবং আমাদের কয়েকজন শিক্ষক কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করার কারণে এমনটি হচ্ছে। তবে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমাদের সতর্ক করেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার ভৌমিক মুঠোফোনে বলেন, ওই বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাশ হয় না। এবং মানসম্মত শিক্ষা সেখানে দেয়া হয় না বলে ছাত্রছাত্রীরা আমাকে অভিযোগ করেছেন। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে সতর্ক করব। কথা না শুনলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।