রাশেদুজ্জামান সুমন, জলঢাকা নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
“শ্যাম রাখি, না কূল রাখি” এরকমেই দুই সুন্দরী স্ত্রীকে নিয়ে বিপাকে পড়ছে জিয়াউর রহমান নামের এক স্বামী। বড় স্ত্রীকে আবার ঘরে তুলবে নাকি ছোট বউকে নিয়ে ঘর সংসার করবে। এটাই এখন প্রশ্ন। সোমবার বিকালে জলঢাকা পৌর শহর ওয়াপদা পাড়ায় এঘটনাটি ঘটে। বড় স্ত্রী রংপুর পীরগঞ্জের পান বাজার এলাকার বকুল মিয়ার কন্যা আয়শা সিদ্দিকা (২৭) স্বামী জিয়াউর রহমানের সাথে দেখা করতে এলে ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে এলাকাবাসি। সরেজমিনে গিয়ে পৌর শহরের ওয়াপদা পাড়ায় গেলে এলাকাবাসি জানান, ১৫ বছর আগে আয়শা সিদ্দিকা ও জিয়াউর রহমান প্রেমের সম্পর্ক করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ২ মাস পূর্বে আয়শা সিদ্দিকা শাহিনুর হক নামের এক ছেলের সাথে পরকীয়ায় আবদ্ধ হয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। এসময় আয়শা জিয়াউর রহমানকে তালাক দেয়। এদিকে জিয়াউর রহমান লালমনিরহাট, হাতিবান্ধা, বড় খাতা, পূর্ব ফকির পাড়ার মৃত আব্দুর রহমানের কন্যা সুমনা আক্তার রুমি কে (২০) বিয়ে করে। তার স্বামীও ৩ বছর আগে মারা যান। এখবর পেয়ে আয়শা জিয়াউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করে পরকীয়া প্রেমিক শাহিনুরকে তালাক দিয়ে সোমবার জিয়াউর রহমানের বাড়িতে উঠে। ছোট স্ত্রী রুমি ও এলাকাবাসি আয়শা সিদ্দিকাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। আয়শা সিদ্দিকা জানান, আমি শাহিনুরকে তালাক দিয়ে পুনরায় আমার স্বামীর কাছে এসেছি। ছোট স্ত্রী সুমনা আক্তার রুমি বলেন, আমি শতীনের সাথে ঘর করব না। এ ব্যাপারে স্বামী জিয়াউর রহমান আমার প্রথম স্ত্রী আমার এক বন্ধুর সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল। সে আবার আমার কাছে ফিরে এসেছে আমি তাকেও ঘরে উঠাতে চাই। এ ঘটনায় গোটা এলাকায় টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।
