বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় দু’টি বাজার বিপদজনক ! স্থান পরিবর্তনে ভাইস চেয়ারম্যানের বাঁধা

ফরহাদ ইসলাম জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় পৌরশহরের পাইকারী কাঁচাবাজার ও মাছবাজার প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে বিপদজনক হয়ে উঠেছে। তবে উপজেলা প্রশাসন বাজার দু’টির স্থান পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিলেও ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আযম এলিচ বিরোধিতা করে মিছিল মিটিং করার হুমকি প্রদান করেন। ফলে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়ে উঠেনি এখনও। প্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটে বাজার দু’টিতে। ফলে করোনা ভাইরাসের আতুরঘরে পরিনত হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। বাজার দু’টির স্থান পরিবর্তন করে ফাকা মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্থানান্তরের দাবী এলাকাবাসীর। সরজমিনে দেখা যায়,বাজার দু’টিতে হাজার হাজার মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে পূর্বের ন্যায় এখনও খুচরা ও পাইকারী ক্রয় করছেন। এতে করে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে অনেকের মাঝে। এ নিয়ে উপজেলাবাসীকে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে ওই বাজার দু’টির স্থান পরিবর্তন করার লক্ষ্যে গতকাল (১৬ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জলঢাকা থানা চত্বরে এক জরুরি সভার আয়োজন করেন উপজেলা প্রশাসন। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন,জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুুল আমীন,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর,পৌর মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট,সহকারী কমিশনার(ভূমি)গোলাম ফেরদৌস,থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান,উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক সহীদ হোসেন রুবেল,সাবেক মেয়র ও বণিক সমিতির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বাবলুসহ দুই বাজারের ব্যবসায়ীগণ। সভায় উপস্থিত সকলের সম্মতিক্রমে পাইকারী কাঁচাবাজার ডাকবাংলো ঈদগাহ মাঠে ও মাছবাজার পুরাতন গরুহাটিমাঠে অস্থায়ীভিত্তিতে করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওইদিন সন্ধ্যায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য চুন দিয়ে গোল চিহ্ন দিতে গেলে সহকারী কমিশনারকে বাধা প্রদান করেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আযম এলিচ। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম ফেরদৌস বলেন,‘‘ আমরা জলঢাকাবাসীকে করোনা থেকে সুরক্ষিত রাখতে বাজার দু’টির দ্রুত স্থান পরিবর্তনের জন্য সকলেই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম,কিন্তু ভাইস চেয়ারম্যান এলিচ সাহেব সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বাধা প্রদান করেছেন। পরবর্তীতে আবারও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব।’’ থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,‘‘ ভাইস চেয়ারম্যানের বাঁধার কারণে বাজার দু’টির স্থান পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি,বিষয়টি আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর বলেন,‘‘ সকলের সিদ্ধান্তকে ভাইস চেয়ারম্যান সাহেব কেন বিরোধিতা করছেন তা আমার বোধগম্যনয়, ঈদগাহ মাঠের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বাবলুর সম্মতিতে আমারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সকল জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।’’ অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আযম এলিচের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।