বিজ্ঞাপন দিন

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মাঝেও তিস্তা সেচ প্রকল্পের লক্ষমাত্রা অতিক্রম।।

মর্তুজা ইসলাম, জলঢাকা প্রতিনিধিঃ ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকার সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে।" আর এ লক্ষ্য পুরনে করোনা ভাইরাসের মত সংক্রমণ উপেক্ষা করে চলতি খরা মৌসুমে বোরো চাষাবাদে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্প উত্তরের তিন জেলা নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুরে ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তা ইতিমধ্যে অতিক্রম করেছে। বর্তমানে তিন জেলায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদান করা হয়েছে। এতে এই মৌসুমে ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হবে। যার মুল্য প্রায় ৬ শত কোটি টাকা। তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাফিউল বারী জানান, চলতি মৌসুমে নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা ৫ হাজার হেক্টর, জলঢাকা উপজেলায় ৮ হাজার হেক্টর ও নীলফামারী জেলা সদর উপজেলার ৭ হাজার হেক্টর, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৫ হাজার হেক্টর, সৈয়দপুর উপজেলায় ২ হাজার হেক্টর, রংপুর জেলার সদর উপজেলায় ২ হাজার গঙ্গাচরা উপজেলায় ৫ হাজার, তারাগঞ্জ উপজেলায় ৩ হাজার হেক্টর ও দিনাজপুর জেলার খানসামা ও চিরিরবন্দর উপজেলায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি রয়েছে। 

তিনি আরো জানান, তিস্তা নদীতে বর্তমানে উজানের পানির জোয়ার অব্যাহত থাকায় চলতি বোরো মৌসুমে চাষাবাদে কৃষকদের ৫০ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। জলঢাকার কৃষক তমিজ উদ্দীন জানান, এবারে ক্যানেলে চাহিদা মোতাবেক পানি থাকায় ভালো ফলন আশা করছি। এস৮টি খালের সভাপতি দেলোওয়ার হোসেন বলেন,সেচ কার্যক্রম সচল রাখতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ উপেক্ষা করে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ করতে তারা তিন জেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে সেচ প্রদান করছে। তিনি আরো বলেন, এবারে তিস্তা নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকায় চলতি মৌসুমে বোরো ধান আবাদের বাম্পার ফলন আশা করছে এ অঞ্চলের কৃষকগন। এদিকে জলঢাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহ মাহফুজুল হক জানান, চলতি বোরো মৌসুমে তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতায় ৮ হাজার হেক্টর জমিসহ উপজেলায় ১৪ হাজার ৬ শত ৩০ হেক্টর জমিতে সেচের মাধ্যমে বোরো ধান লাগানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক দুুর্যোগ না হলে এবার জলঢাকায় বোরোর বাম্পার ফলন আশা করছি। এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাফিউল বারী বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ উপেক্ষা করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারিগন চলতি বোরো মৌসুমে তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের সেচ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি এবার তিন জেলায় বোরোর বাম্পার ফলন হবে।