বিজ্ঞাপন দিন

ত্রাণ কোন ভিক্ষা নয়, এটা মানুষের অধিকার পৌর মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট

আবেদ আলী স্টাফ রিপোর্টারঃ সরকারি ত্রান মানে ভিক্ষা নয়, জনগণের টাকায় রাষ্ট্রীয় শস্য ভাণ্ডার। জনগণের সরকার, তাই জনগণের পাশে থাকার জন্য আছে সরকারের অঙ্গীকার। আর এটি বাস্তবায়নে করোনায় কর্মহীন দুস্থ পরিবারদের মাঝে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে ত্রান সামগ্রী। দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার শুরু থেকেই করোনা সংক্রমণ রোধে নানান সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি পৌর কার্যলয়ে কর্মহীন দুস্থ পরিবারদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছেন নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল কমেট চৌধুরী। শুধু কাই নয়, বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে অসহায় দরিদ্র মানুষের বাড়ী বাড়ী ছুটে গিয়ে খোজখবর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে পাওয়া উপহার সামগ্রীসহ ব্যাত্তিগত উদ্যোগে ত্রান ও নগদ টাকাও বিতরন করেছেন মেয়র। 

গতকাল পৌর অফিস সুত্রে জানা যায়, সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত মোট ৫৫ মেঃটন চাল ৫'হাজার ৫'শ পরিবারের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ১৪ পরিবার এবং ওএমএস এর ১৮'শ পরিবার সহ মেয়র ছোটখাটো সমস্যাগুলো সমাধানের মধ্যদিয়ে তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রায় ১লক্ষ টাকার সহায়তা দিয়েছেন বলে জানান, পৌরসভার হিসাব রক্ষক আওলাদ হোসেন। মেয়র সরকারি ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি ব্যাক্তিগত ভাবেও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন সহ বিপুল সংখ্যক মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করায় তার এমন কর্মকাণ্ডে এলাকার মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সুবিধাভোগীরা। 

সহায়তা পাওয়া মাজেদা বেগম জানায়, সোবায় ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নেয়, কিন্তু কাহ কিছু দেয় না। পরে মেয়রকে বলার পর ১০কেজি চাল, ডাল, আলু দিয়া আরও কোনও সমস্যা হইলে দেখা করিবার কইছে। পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের ফজিলা বেওয়া জানায়, মেয়র বাড়িতে যায়া চাউল ডাল আলু দিছে আল্লাহ্ যাদুর ভালো করুক। 

এবিষয়ে পৌরসভার মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট বলেন, ত্রাণ কোন ভিক্ষা নয়, এটা মানুষের অধিকার, এখানে লজ্জার কিছু নেই। সরকারিভাবে যখন যা বরাদ্দ আসছে, আমি তাত্ক্ষণিকভাবে কাউন্সিলরদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিতরণ করি, যা এখনো অব্যাহত আছে। একজন মেয়র হিসেবে পৌরবাসীর জন্য যা করা প্রয়োজন আমি তাই করছি।