বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারীতে তিল চাষের বাপ্পার ফলন

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষিচাপ ইউনিয়নে ৪ হেক্টরসহ উপজেলায় মোট ৫ হেক্টর খরিপ ওয়ান মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়ায় তিলের বাম্পার ফলন হয়েছে। নামমাত্র উৎপাদন খরচ আর চাহিদার সাথে ভাল দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক।(নীলফামারী থেকে আব্দুল মালেকের পাটানো প্রতিবেদনে দেখুন বিস্তারিত) চলতি খরিফ-ওয়ান মৌসুমে তিলের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে তিল চাষিরা। ভাল দাম ও প্রচুর চাহিদা থাকায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। কৃষক ঝুঁকছেন তিল চাষাবাদের দিকে। তিল বীজ বপনের ৮০ থেকে ৮৫ দিনের মধ্যে কৃষকরা ক্ষেত থেকে ঘরে তুলতে পেরেছেন। 

আর এতে উৎপাদন খরচ নেই বললেই চলে। তিলের ঔষধি গুণ থাকায় বাজারে চাহিদা রয়েছে বেশি। লক্ষিচাপ দুবাছুড়ি এলাকার তিল চাষী বেলাল হোসেনসহ অনেকে বলেন ধান, পাট ও ভুট্টাসহ অন্য ফসলের চেয়ে তিলের আবাদে লাভ বেশি। তবে তামাক চাষের পর পরিতক্ত জমিতে কম খরচে তিল চাষে লাভজনক হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে কৃষকরা। তাই কৃষকরা বলছে আমরা অনেকেই এখন তিল আবাদের দিকে ঝুঁকেছি । তবে কৃষি বিভাগের মরামর্শ পেলে আরো ব্যাপক লাভের আশা করছে কৃষকরা। 

ব্যবসায়ীরাও জানান, চলতি মৌসুমে প্রতি মণ তিল বিক্রি হচ্ছে ২হাজার থেকে ২৫শ’ টাকায়। যা গত বছরের চেয়ে ৫ থেকে ৭শ’ টাকা বেশি। সদর উপজেলা কৃষিবিদ কামরুল হাসান বলছে, ভালো জাতের বীজ সরবরাহসহ কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ সবধরনের সহযোগিতার ফলে বাম্পার ফলন হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় উপজেলায় চলতি মৌসুমে তিলের ভালো ফলন হয়েছে।