বিজ্ঞাপন দিন

জাহান আহমেদের " নীলান্তি "

 


নীলান্তী, 


জাহান আহমেদ -


১২/৩/২০১৯..


কেমন আছো নীলান্তী? 

 চিরকুটের পহেলায় জানাই আনকোরা ফাগুনে সদ্য জন্মানো কৃষ্ণচূড়ার মনোমুগ্ধকর বর্ষ আবাহন শুভেচ্ছা" 


এপিটাফের ফোয়ারায় বসন্তের প্রেমকে  খামে পুড়ে পাঠিয়ে দিলেম ফ্যাকাশে আকাশের বুকে। 

অনুভূতি গুলো অগোছালো ভাবে এপিটাফে গুঁজে দিলাম নীলান্তী নামক প্রশান্তির খোজেঁ "

প্রশান্তির তৃপ্ততা পেতে মনের খোরাক সমেত 

 অব্যক্ত কথা গুলো ব্যক্ত করলাম ভার্চুয়ালের সফেদ কাফতার শ্বেতকপোতের ডানায়। 


সেই সাথে আরো ছড়ালাম ঘনঘটা মেঘের ভেলা,

বুঝে নিও  হঠাৎ যেন এক পশলা বৃষ্টি,

খোঁপা জুড়ে কদম গুচ্ছ, পরনে লাল টুকটুকে শাড়ি "

বৃষ্টিস্নাত আখিঁ পল্লবে যেন প্রেমের পিয়াস!

দু'দণ্ড শান্তিতে যেন জীবনের সব প্রাপ্তি!


নীলান্তী,

 তোমাতে পত্র লেখার মতো আমার তেমন কোনো আক্ষরিক জ্ঞাণার্য আমার হয়নি । 

তারপরেও মনের ইচ্ছের থাবায় পড়ে ব্যহত ব্যতিত হৃদয়ে কিছু   স্বরর্বণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ দিয়ে ইয়ত্তাহীন শব্দের পান্ডুলিপি লিখিলাম। 

জানি,

পত্র পড়ে তোমার  মনের খোরাক  মিটবে না, 

তবুও এ পত্র হতে পারে তোমার স্বান্তনার আলিঙ্গন  হৃদয়াঙ্গনে। 


বসন্তের আবেশ মেখে  ভাবনার করিডোরে অন্যকোনো ঋতুকে নিয়ে ভাবতে পারছি না,

তাই বসন্তদূতের সুরের মূর্ছনায় প্রাণবন্ত শৌখিন বামেতর হাওয়া লাগুক তোমাতে তোমারও অবয়বে,

ঋতুর পরিবর্তনে মহীরুহের তলে ঝরে পড়া পাতার মড়মড়ে সুরে ফাগুনের রক্তিম পিদিম জ্বলুক হিয়ারও মাঝারে!



প্রস্ফুটিত অমলিন কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম অর্ঘ্য সাজিয়ে গোধূলির বিকাল শেষে আবছা আলোর দাদন সন্ধ্যায় স্নিগ্ধ সমীরণের স্পর্শে পড়ে নিও অগোছালো এপিটাফনামা।


নশ্বর মোদিনীর মানচিত্রে কল্যাণময় হোক তোমার সারা যবানিযিকা। সর্বাবস্থায় ভালো থেকো  রাখি মনে পুষে এই প্রার্থনা!



ইতি,

তোমার....

অস্ফুটগামী...

Post a Comment

0 Comments