কিশোরগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ৩০ টি বসতঘর পুড়ে ছাই,অগ্নিদদ্ধ ২ শিশু

কিশোরগঞ্জ নীলফামারী প্রতিনিধিঃ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৬ টি পরিবারের ২০ টি বসতঘর ৬ টি গরু, ১৮ টি ছাগল নগদ টাকাসহ ঘরে রক্ষিত মালামাল পুরে ছাই হয়ে গেছে।ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের পানিয়াল পুকুর তেলিপাড়া গ্রামে।এসময় আগুন নেভাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আবদুল্লাহ (১৫) ও মিথুন (১১) নামে দুই শিশু গুরত্বর আহত হয়। আহতদের কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার কারনে আরো বড় ধরনের দৃর্ঘটনা থেকে রক্ষাপায় গ্রামবাসী। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে,বুধবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে নিতাই ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের মনেরা মামুদের ছেলে লতিবর রহমানের ঘরে বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। মুহুত্বের মধ্য আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পরে। কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসার আগেই ১৬ টি পরিবাবের ২০ টি বসতঘর, ৮ টি রান্নাঘর, ১১টি ছাগল, ৪ টি গরু, নগদ ৪৫ হাজার টাকাসহ ঘরে রক্ষিত মালামাল ধান,চাল, তামাক,আলু হাঁস মরগিসহ সবকিছু আগুনে পুরে ছাই হয়ে যায়। এসময় আগুন নেভাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে লতিবর রহমানের ছেলে আবদুল্লাহ (১৫) এবং তাজুল ইসলামের ছেলে মিথুন মিয়া (১১) গুরত্বর আহত হয়। কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার রাশেদুল হক জানান, নিতাই ইউনিয়নের তেলিপাড়ায় অগ্নিকান্ডে ১৬ টি পরিবারের ৩০ টি ঘর, গরু,ছাগল, হাঁস মুরগী,নগদ টাকাসহ সবকিছু পুরে গেছে। সঠিক সময়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর না দিলে আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুনে পুরে যাওয়া পরিবারগুলোর মাঝে শুকনো খাবার ও কম্বল বিতরন করা হয়েছে। পরে যাচাই বাছাই করে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।