বিজ্ঞাপন দিন

আবেদনকারীকে তথ্য না দেয়ায় জলঢাকা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে জরিমানা করল তথ্য কমিশন

মর্তুজা ইসলাম জলঢাকা প্রতিনিধি: আবেদনকারীকে তথ্য না দেওয়ায় অপরাধে জলঢাকা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে পৃথক পৃথক অংকের অর্থ জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল (বুধবার) দুপুরে ঢাকায় তথ্য কমিশনে শুনানী শেষে ওই জরিমানা করা হয়। জানা যায়, নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের বাঁশদহ গ্রামের ভারতী রানী ও শাবানা বেগম এবং একই ইউনিয়নের উত্তর বেরুবন্দ গ্রামের জানকী রানী। ওই তিন নারী নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তরে চলতি বছরের ২০ এপ্রিল তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। আইনে উল্লিখিত ২০ কার্যদিবস পেরিয়ে গেলেও তারা তথ্য পাননি। এরপর তারা নীলফামারী জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে আপিল করেন। কিন্তু সেখান থেকেও তারি কোন তথ্য পাননি। পরবর্তীতে গত ১৩ জুন ওই তিন নারী ঢাকার আগারগাঁও তথ্য কমিশন কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগ দায়ের করার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল (বুধবার) দুপুর সাড়ে ১২ টায় ঢাকার আগারগাঁওস্থ তথ্য কমিশন কার্যালয়ে প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমানের নেতৃত্বে এক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে উভয়পক্ষের বক্তব্য শেষে আবেদনকারী তিন নারীকে তথ্য না দেওয়ার দায়ে নীলফামারীর জলঢাকা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আলী আর রেজাকে ৪ হাজার ৮ টাকা এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামীম তালুকদারকে এক হাজার ২ শ’ টাকা জরিমানা করে কমিশন। সেই সঙ্গে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য দিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়। শুনানিতে তথ্য কমিশন আরোও নির্দেশ দেন যে আবেদনকারীদের যাতায়াত খরচ বাবদ প্রত্যেককে ১ হাজার ২ টাকা করে প্রদান করতে হবে এবং বাকী টাকা সরকারী কোষাগারে জমা করতে হবে এবং জরিমানা অর্থ শুনানিস্থলে জমা দিতে বলা হয়। জলঢাকা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামীম তালুকদার শুনানিস্থলে জরিমানা অর্থ জমা দেন। কিন্তু উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আলী আর রেজা জরিমানা অর্থ পরে পরিশোধ করবেন বলে তথ্য কমিশনে অঙ্গীকার করেন