বিজ্ঞাপন দিন

মুক্তিযোদ্ধা এখন পানওয়ালা

মানিক লাল দত্ত, নীলফামারী : নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার কেন্দ্রে ছোট্ট একটা গলির ভিতরে বসবাস করে দেবেন্দ্রনাথ রায় (৬০)। দেশকে ভালোবেসে যারা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ছিল। তারাই আজ নিজেদেরকে বোঝা মনে করে। স্বাধীনতার ৪৫ বছরে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু পরিবর্তন হয় নি তাদের ভাগ্যের।

যারা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশকে ভালোবেসে হানাদার মুক্ত করতে যুদ্ধে গিয়েছিল। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। আজও ভাগ্য উন্নতি ঘটেনি তাদের। তিনি এখনও ছোট্ট একটা পানের দোকানদার। অবশ্য স্বাধীনতা দিবস, শহীদ দিবস, জ্ঞানী-গুনি জনের জন্ম বা মৃত্যু বার্ষিকি কিংবা জাতীয় দিবসে আজও সে মানবতার সেবায় নিয়োজিত। শহীদদের ব্যধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলীর জন্য পুস্প মাল্য তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে।

এ বিষয়ে তার সাথে কথা হলে তিনি জানান দেশকে ভালোবেসে দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন তাদের মত আমরাও একজন। তারা আমার সহযোদ্ধা ছিলো। তাই ভালোবেসে তাদের শ্রদ্ধার নিমিত্তে এই কাজ করি। এতে আমার খুব ভালো লাগে। কিন্তু দুঃভাগ্য আমাদের মত সৈনিকদের দুরবস্থা তাতেও দুঃখ নেই কারন আমরা দিতে জানি নিতে জানি না। কারন জাতির পিতার আদর্শে আমরা গড়া।

তিনি আরও জানান সংসার চালাতে গিয়ে ফুল বিক্রি ও পান বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করান যায় না। যদি আমার মেয়ে কিংবা ছেলের একটি সরকারি চাকুরি হত তাহলে হয়ত আমার দুঃখ দুর হত। কিন্তু গরিব হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধার কোটা থাকার পরেও অর্থ না থাকায় আমার সন্তানের চাকুরী হবে কিনা সন্দেহ।