বিজ্ঞাপন দিন

বিয়ের ৪ বছর পর যৌতুকের টাকা ফেরত দিলেন জামাতা

ফরহাদ ইসলাম,জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিয়ের সময় যৌতুক গ্রহনকারী অপরাধী হলেও তবুও থেমে নেই এ অপরাধ। বর্তমান সময়ে যৌতুক ছাড়া বিয়ে হচ্ছে না এমন বিয়ের সংখ্যা খুবই কম। ইসলামি আইনেও হারাম আখ্যায়িত করা হয়েছে যৌতুককে। তাই ধর্মীয় আইনের কথা চিন্তা করে একজন মুসলমান হিসেবে বিয়ের ৪ বছর পর শ্বাশুড়ীর হাতে যৌতুকের টাকা ফিরিয়ে দিয়ে মোহরানা পরিশোধের জন্য জমি লিখে দেওয়ার অঙ্গীকারে ইতিহাসে বিরল এঘটনাটি স্থাপন করেছে এরশাদ আলী নামে একজন ধর্মপাগল। পেশায় একজন দোকান কর্মচারী হলেও অনেক বড় মনের মানুষের পরিচয় দানকারী ওই মহৎ ব্যক্তি বলেন, বিয়ের সময় বুঝে উঠতে পারিনি যৌতুক নেওয়া হারাম। তাই হারামের টাকায় কখনও আরামও পাইনি বলেই আজ সব ফেরত দিতে এসেছি। এ ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড চেরেঙ্গা মাঝা পাড়া গ্রামে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২০১৪ সালে ওই গ্রামের মৃত্যু সুলতান মামুদের মেয়ে রোজিনা বেগম (২৩) এর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ৬ নং ওয়ার্ড সবুজ পাড়া এলাকার আতিয়ার রহমানের ছেলে এরশাদ আলী’র (২৮) আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। অভাবের সংসার হলেও সুখে কাটছে তাদের দিন। কোলজুড়ে এসেছে একটি কন্যা সন্তান। এরইমধ্যে এরশাদ তার পরিবার কর্তৃক গ্রহণকৃত যৌতুকের ৯০ হাজার টাকা নিয়ে বিবেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হলে নিজের পরিশ্রমের সঞ্চয়কৃত টাকা ও একটি গাভীসহ ফেরত দেন শ্বাশুড়ী রাবেয়া বেওয়ার কাছে। এবিষয়ে শ্বাশুড়ী রাবেয়া জানান, এমন জামাই পেয়ে আমি নিজেকে গর্ভবোধ করি। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে তাকে একনজর দেখার জন্য ছুটে আসা এলাকার শতশত মানুষের মধ্যে ওই ওয়ার্ডের সাবেক ইউ’পি সদস্য হাফিজুর রহমান ও মসজিদের ঈমাম আকবর আলী বলেন, এরশাদ যা করলো তা দেখে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।