বিজ্ঞাপন দিন

ডোমারে একই নামে দুটি বিদ্যালয় কার্যক্রম বন্ধে আদালতে মামলা

রতন কুমার রায়-ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃনীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী হাট এলাকায় একই নামে দুটি বিদ্যালয় স্থাপন করার ঘটনায় একটি বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধে আদালতে মামলা করেছে অপর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। জানা গেছে,ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী হাট এলাকায় দক্ষিন মটুকপুর গ্রামের শিক্ষানুরাগী প্রয়াত রশিদুল ইসলাম শাহ মটুকপুর সপ্তর্ষী বিদ্যাপীঠ নামে ২০১৫সালে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করেন। পরবর্তিতে ওই বিদ্যালয়ের মাত্র ১০গজ দুরে একই নামে অপর একটি বিদ্যালয় খুলে বসে একটি পক্ষ। এ বিদ্যালয়টি বন্ধের জন্য সপ্তর্ষী বিদ্যাপীঠের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুসলিমা সুলতানা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, নীলফামারী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও ডোমার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে মোকাবিলা বিবাদী এবং অপর ম্যানেজিং কমিটির ৬সদস্য যথাক্রমে প্রশন্ন কুমার অধিকারী,অভয় চন্দ্র রায়,আব্দুল মজিদ,রেবতী মোহন বর্মন,দুলাল হোসেন ও গোপাল চন্দ্র রায়কে মূল বিবাদী করে বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দ্বায়ের করেছেন। মামলা নং অন্য-২১/২০১৮। আদালত তাদের জবাব দেয়ার জন্য নোটিশ জারী করেছেন। এ ব্যাপারে মটুকপুর সপ্তর্ষী বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক ও ওই মামলার ৭নং বাদী সাজ্জাদুল ইসলাম শুভ জানান, আমার পিতা মরহুম রশিদুল ইসলাম শাহ গত ১৭/০৯/২০১৫ইং সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। গত ০৮/১১/২০১৫ইং সালে একাডেমিক স্বীকৃতির জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেন এবং ০১/১২/২০১৫ইং তারিখের ৬৫৩নং স্বারক মূলে একাডেমিক স্বীকৃতির জন্য কার্যক্রম শুরু করেন।এ ছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার বিদ্যালয়টিতে পাঠদান ও অনুমোদনের জন্য ডিও লেটারের মাধ্যমে সুপারিশ করেছেন। পরবর্তিতে গত ২০/১১/২০১৬ইং তারিখে একই নামে মাত্র ১০ থেকে ১৫গজ দুরে মটুকপুর দুর্গা ও কালী মন্দিরের জায়গায় অপর একটি বিদ্যালয় খুলে বসে। সম্প্রতি তারা ভূয়া কাগজ পত্র জমা দিয়ে ৬ষ্ট থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি নেয়। আমরা বার বার বলার পরেও তারা বিদ্যালয়টি বন্ধ করেনি। ফলে আমরা আদালতের শরনাপন্ন হয়েছি।