বিজ্ঞাপন দিন

"জলঢাকায় ধানক্ষেত নষ্টের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় বীরমুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীসহ আহত-৩"

রবিউল ইসলাম রাজ,জলঢাকা প্রতিনিধি: নীলফামারীর জলঢাকায় ধানক্ষেত নষ্টের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় বীরমুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীসহ ৩ জন আহত হয়েছে। এবিষয়ে জলঢাকা থানায় ৬ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে। গত ৬ জানুয়ারী দুপুরে উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের নাড্ডা পাড়া নামক স্থানে ঘটনাটি ঘটেছে। মামলা সূত্রে জানা যায়,উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের নাড্ডা পাড়ার মৃত জহুরুল হকের ছেলে শাহীন আলম (৩৫) চলতি বোরো মৌসমে নদীর পাড়ের জমিতে ধানগাছ রোপন করেন। এই রোপনকৃত ধান ক্ষেতে প্রতিবেশী তছলিম উদ্দীনের ছেলে আব্দুল মজিদ (৩০) এর পালিত হাঁস ক্ষেতের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।বাধা নিষেধ করার পরেও এমন ঘটনার জন্য শাহীন আলম আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ৫টি হাঁস স্থানীয় খোয়াড়ে পাঠিয়ে দেয়। এরে জেরে আক্রশবসত আব্দুল মজিদসহ তার ভাই আব্দুল হামিদ (৩৮),আব্দুল গফর (২৫),স্ত্রী বেবী বেগম (৩৬),একই গ্রামের মৃত ছাইদুল ইসলামের ছেলে তৈয়ব আলী (৩৭) ও আইয়ব আলী (৩২) সকলে দলবেধে দেশীয় ধাড়ালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পুকুরে গোসল করা ছোট ভাই মিন্টু মিয়ার উপর হামলা চালায়। এতে মিন্টু মিয়ার মাথা রক্তাক্ত জখম হয়। তাকে বাঁচাতে বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃত ফজলুল হকের স্ত্রী চাচী মন্নুজা বেগম (৬৫) এগিয়ে এলে তাকেও সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করে। সে শ্লীলতাহানির স্বীকার হন। এসময় তার মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়।এরপর স্বামীকে বাঁচাতে স্ত্রী নাজমিন বেগম (৩০) ছুটে এলে তাকেও মারধরসহ শ্লীনতাহানি করে।পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহতদের জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীদের ভালোভাবে দেখে চিকিৎসা প্রদান করেন এবং আহত মিন্টু মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সরেজমিনে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন,শাহীনদের ধানবাড়ীতে হাঁস লাগে দিয়ে ধানক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। এবং আব্দুল হামিদের হুকুমে ডাংমার করে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীসহ তাদের বেধরক পিটিয়েছে। এভাবে মারাটা তাদের ঠিক হয় নাই। এবিষয়ে শাহীনের পরিবারের লোকজন বলেন,তারা আমাদের ধানক্ষেত নষ্ট করে আবার আমাদের মারধর করে। বর্তমানে মিন্টু মিয়া রংপুর মেডিকেলে আশংকাজনক অবস্থায় আছে। আমরা ন্যায় বিচার চাই। বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃত ফজলুল হকের স্ত্রী মন্নুজা বেগম হাসপাতালের বেটে শুয়ে কান্নাজরিত কন্ঠে বলেন,আমার স্বামী এই দেশ স্বাধীন করেছে। আর এই স্বাধীন দেশে আমাকে মার খেতে হলো।তারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে। এ কথা বলতে বলতে তিনি হাউ মাউ করে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। তিনি প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার দাবি করছি। অপরপক্ষের আব্দুল মজিদ বলেন,তারা নিজেরা ছুটাছুটি করে আহত হয়েছে। এবিষয়ে মামলার আইয়ু নিসার আলী তিতুমীর (এস.আই.) সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,মারামারি হয়েছে ঘটনা সত্য। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে একজন আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।