বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারী মিউজিয়াম(যাদুঘর) সংরক্ষিত মহামূল্যবান নির্দশন সংরক্ষণের জন্য সংবাদ সম্মেলন

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী মিউজিয়াম(যাদুঘর) সংরক্ষিত মহামূল্যবান নির্দশন সংরক্ষণের জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিষ্টাতা এ,টি, এম, মুজিবর রহমান। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পশ্চিম দিকে লাল বিল্ডিংয়ে অবস্থিত মিউজিয়াম (যাদুঘর)টি । মঙ্গলবার ২৯ জানুয়ারী বেলা ১১ টায় মিউজিয়াম যাদুঘর কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । মিউজিয়াম যাদুঘর ১৯৮২ সালে স্থাপিত হলে, ২০০৩ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক আনুষ্ঠানিক ভাবে বাস্তবায়ন শুরু করেন। বাস্তবায়ন শুরু হলেও যাদুঘরের সংরক্ষিত প্রাচীনকালের মহামূল্যবান নিদর্শন সংরক্ষণ ও মেরামত করার জন্য লোকবল এবং আর্থিক সংকটে ভুগছে দায়িত্বরত এ, টি, এম, মুজিবর রহমান। নিজের অর্থে যাদু ঘরটি পরিচালনা করে আসছেন তিনি। রতন কুমার রায় ও মানিক হোসেন নামে দুইজন অফিস সহায়তার জন্য দায়িত্ব পালন করে আসছে। তাদের বেতনভাতা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন। এখানে কোন ডোনার বা সরকারের সহায়তা না পাওয়ায় প্রতিষ্টানটি হ-য-ব-র-ল অবস্থায় পরেছে । তিনি আরো উল্লেখ করেন,এখানে প্রাচীনকালের মহামূল্যবান তাল পতার পুথি, প্রাচীন যুগের ৩০ পারা কোরআন শরীফ, ১ম খলিফা হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) হস্তলিপি- পান্ডুলিপি, সনাতন হিন্দু ধর্মের ঘটনা সম্মেলিত অসমীয়া বাংলাভাষা, কষ্টি পাথরের মূর্তি ছাড়াও বিভিন্ন গুনী মানুষের ব্যবহারকৃত কাপড়, বাসন, বই সহ অনেক অনেক কিছু মূলবান জিনিস পত্রাদী এই যাদুঘরে গচ্ছিত আছে । সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্টাতা সভাপতি এ,টি, এম, মুজিবর রহমান বলেন, আমি নিজ অর্থায়নে এ প্রতিষ্টানটি পরিচালনা করে আসছি, এখন আমার বয়স হয়েছে, কর্মচারীদের বেতনভাতা বহন করতে পারছিনা। তাই সংবাদ সম্মেলন করে আপনাদের মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদন, এই মিউজিয়াম (যাদুঘর) টির দেখাশোনা করার জন্য আর্থিক সহায়তা করার জোর দাবী জানাই।