বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় এক স্কুলে ২ প্রধান শিক্ষক

রাশেদুজ্জামান সুমন, জলঢাকা, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জলঢাকায় এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২ জন নিজেকে প্রধান শিক্ষক বলে দাবী করছেন। একজন নিয়োগ প্রাপ্ত বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক আর একজন কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এ নিয়ে স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র/ছাত্রী সহ এলাকায় চলছে আলোচনার ঝড়। ঘটনাটি ঘটেছে খুটামারা রহমানিয়া দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে। স্কুল সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী উপজেলার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে সময়কার প্রধান শিক্ষক বর্তমানে বরখাস্ত হওয়া আব্দুল খালেকের প্যানেল হেরে যাওয়ায় ম্যানেজিং কমিটিকে তিনি মেনে নিতে পারেনি। তাই কমিটিটি প্রায় ২ বছর অনুমোদন পায়নি। পরবর্তীতে হাই কোর্টের রিটের মাধ্যমে কমিটিটি অনুমোদন পায় ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ। সেই কারণে আব্দুল খালেক স্কুলের সাথে তার সংশ্লিষ্টতা ও বিভিন্ন মিটিংয়ে অংশ গ্রহণ করেনি। বাধ্য হয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জমসেদ আলী প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেককে নানা অনিয়মের কারণে সাময়িক বরখাস্ত করে এবং সহকারী শিক্ষক আসাদুজ্জামান কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন। এরই বিরুদ্ধে আব্দুল খালেক হাই কোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারী রিটের আয় পেলে স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষক দাবী করে চেয়ারে বসেন। এ নিয়ে স্কুলের শিক্ষক সহ এলাকায় নানা আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। নাম প্রকাশ না করায় একজন সহকারী শিক্ষক জানান, ২ জন নিজেকে প্রধান শিক্ষক বলে দাবী করে। এখন আমরা কার কথা শুনবো। আব্দুল খালেক জানান, আমি নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কমিটি আমাকে অবৈধভাবে বরখাস্ত করেছিল। আমি হাই কোর্টে রিট করে রায় পেয়েছি। তাই আমি প্রধান শিক্ষক। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান জানান, কমিটি আমাকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে তাদের ঘোষণা অনুযায়ী আমি প্রধান শিক্ষক। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব জমসেদ আলী জানান, নানা অনিয়মের কারণে আব্দুল খালেককে বরখাস্ত করে আসাদুজ্জামানকে নিয়োগ দিয়েছি। আমাদের রেজুলেশন অনুযায়ী আসাদুজ্জামানেই প্রধান শিক্ষক। রিটের বিষয়ে কিছু জানি না। এবং কোন কাগজও হাতে পাইনি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিক বলেন, নিয়োগ ও বরখাস্ত করার বিষয়টি কমিটির উপর নির্ভর করে। হাইকোর্টের রিটে আব্দুল খালেককে পূর্ণবহাল করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে সভাপতি বরাবর। তিনি সভাপতির সাথে কথা না বলে প্রধান শিক্ষক দাবী করায় এমন সমস্যার উদ্ভব হয়েছে।