রতন কুমার রায়-ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ-নীলফামারীর ডোমারের ঐতিহৃবাহী ডোমার বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষে পদার্পন।
১৯১৯ইং সালে স্থাপিত হয়ে বিদ্যালয়টি বর্তমানে শতবর্ষে পদার্পন করেছে।শতবর্ষের এই বিদ্যালয়টি থেকে পড়ালেখা করে বর্তমানে অনেকে ডাক্তার,প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক,আইন পেশাসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে দেশের গুরুত্বপূর্ন পদে অধিষ্ঠিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।এমনকি বিদেশেও দেশের ভাবমুর্তি উজ্জল করেছেন। এ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী বিজ্ঞানী ইঞ্জিনিয়ার মজিবুল হক বর্তমানে আর্ন্তজাতিক মহাকাশ গবেষনা কেন্দ্র (নাসায়) কর্মরত রয়েছেন।
জানা গেছে, সে সময় ডোমারের কয়েক বিদ্যানুরাগীর প্রচেষ্টায় শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে বিদ্যালয়টি ডোমার শহরের উপকন্ঠে(বর্তমানে ডোমার সরকারী বালিকা বিদ্যালয়)এর জায়গায় বালক/বালিকা মিলে কিছু শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে।বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা কালীন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন প্রয়াত শচীন দেব বর্মন।১৯২৬ইং সালে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডোমার হাই ইংলিশ স্কুল নামে বিদ্যালয়টি অনুমোদন পায়। পরবর্তিতে সময়ের প্রয়োজনে তৎকালীন এমএলএ মরহুম শামসুল হক টগড়ার প্রচেষ্টায় ডোমার উপজেলা পরিষদ(সিও অফিস)সংলগ্ন প্রয়াত রাধা চাচান কৃষানের দানকৃত ৩একর ৩শতাংশ জমিনের উপর শুধু মাত্র বালক শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হয়।পরবর্তিতে আরো ৫একর ২৩শতাংশ জমি লিজ নিয়ে সেখানে অবকাঠামো তৈরী করে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।মোট জমির পরিমান-৮একর ২৬শাংশ। বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক হাজারের অধিক। শিক্ষক/শিক্ষিকা রয়েছেন ২২জন। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৭জন প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেন। বিদ্যালয়ের মনোরম পরিবেশ,পড়ালেখার মান উন্নয়নসহ ম্যানেজিং কমিটির দক্ষ পরিচালনার জন্য বিদ্যালয়টি একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। বর্তমান প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দুজনেই এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।প্রধান শিক্ষক রবিউল হক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আখতারুজ্জামান সুমন জানান,বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পুর্তি পালনে আমরা ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছি।এজন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। আগামী মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে শতবর্ষ পূর্তি পালন করা হবে।