বিজ্ঞাপন দিন

৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের নীলফামারী সদর আহবায়ক কমিটির আত্নপ্রকাশ

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চে সর্বপ্রথম পাক-হানাদার বাহিনীর আক্রমন শুরু হওয়ায় সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাঙালী মুক্তিযোদ্ধারা। ঐ হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাংলাদেশ নামক দেশটিকে মুক্তির জন্য, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলো, তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা বলা হয় । এই মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতায় ছিলেন, তারাই সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা । তাই সহযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি ও সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকা প্রনয়ণের দাবীতে ৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারী ২০১৯ নীলফামারী জেলা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি সফিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে আব্দুল মজিদ আহবায়ক এবং সৈয়দ আলী কে সদস্য সচিব করে সর্ব সম্মতি ক্রমে সদর উপজেলায় ২১ সদস্যের আহবায়ক কমিটির অনুমোদন করেন । ৩ ফেব্রুয়ারী রবিবার দুপুরে নীলফামারী সার্কিট হাউস চত্তর এলাকার নতুন বাজার সড়কে সদর কার্যালয়ে নতুন আহবায়ক কমিটির আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্নপ্রকাশ ঘটে। আমন্ত্রিত অতিথি, ১৯৭১ সালের সাহসী প্রতিরোধ যোদ্ধা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের, ডেপুটি কমান্ডার -১ জেলা ইউনিট কমান্ডার,মোঃ শওকত আলী টুলটুল এর উপস্থিতিতে সর্বসম্মতভাবে এই কমিটির আত্নপ্রকাশ করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, যুগ্ম আহবায়ক (১) মো: আব্দুল হান্নান শাহ, (২) নুরুল আমিন সরকার, (৩) আব্দুল হামিদ শাহ (৪) মোজাম্মেল হক (৫) আনোয়ার হোসেন শাহ ফকির, (৬) মোঃ তিতুমির রহমান। সাধারণ কার্যকরী সদস্যরা, (১) মো: রহিমুদ্দিন, (২) ইসমাঈল হোসেন (৩) নুর নবী শাহ,(৪) হাবিবুর রহমান, (৫) শ্রী ভবেশ্বর চন্দ্র রায়, (৬) আব্দুল কুদ্দুস, (৭) মাহফুজার রহমান, (৮) সোহরাব আলী, (৯) লিয়াকত আলী, (১০) মতিয়ার রহমান, (১১) খলিল হোসেন, (১২) হামিদুর রহমান, (১৩) সুলতান আলী প্রমূখ । এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম সহযোগী যোদ্ধা, বর্তমান ৮ নং পঞ্চপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হবিবর রহমান সরকার । তিনি ৭১ এর যুদ্ধকালীন সময়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাড়ি বাড়ি খাবার সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে নিয়ে খাওয়াতেন। গোপনে সংবাদ আদানপ্রদান করতেন।