বিজ্ঞাপন দিন

"অসহায় শিশুদের আলোর মূখ দেখাতে পারে`পকেট মানি`"

রবিউল ইসলাম রাজ,(জলঢাকা) নীলফামারী প্রতিনিধি:--------------- অসহায় এতিম ফাহিম হাসান। চেহারা যেন মিষ্টি মিষ্টি। বয়স হবে ৫বছর। সে পৃথিবী আসা মাত্র তার বাবা তার মাকে ছেড়ে চলে যায়। ক'দিন না যেতে মাও তাকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর ফাহিম বৃদ্ধা নানীর কোলে পিটে মানুষ হচ্ছে। নানীর বয়সও কম নয় প্রায় (৬৫) বছর।নানীর বসতবাড়ীটুকু আছে অন্যের জমিতে। প্রতিদিন এদিক সেদিক ছোটাছুটি করে যা পায় তা দিয়ে কোনমতে নাতিকে নিয়ে বেছে আছে। বৃদ্ধা নানী এখন প্রায় অক্ষম। বয়সের ভারে আগের মত আর চলতে পারে না। তিনবেলা ঠিকমত তাদের মূখে অন্ন উঠে না।এই পৃথিবীতে কেহ তাদের খবর নেয় না। নেয় না তার মেয়েও। তাই নানীর দিন খুব কষ্টে যাচ্ছে।তবুও সে নাতিকে নিয়ে চিন্তা করে। নাতিকে নিয়ে স্বপ্ন বুনে। নাতি বড় হবে,বড় অফিসার হবে,মানুষের সেবা করবে,জাতির কল্যানে কাজ করবে।কিন্তু ভাগ্যের কী পরিহাস? বৃদ্ধার স্বপ্ন আজ বলি হতে শুরু করেছে। নিজের অন্ন জোগার করতে কঠিন পরীক্ষার সমক্ষিন হতে হচ্ছে। আহাকারে দিন যাচ্ছে তাদের। ক্যামনে বা তার স্বপ্ন পুরোন হবে।মোর নাতিকে বড় করার দায়িত্ব কায় নিবে? আল্লাহ মোক কয়দিনে বা রাখবে? কায় দেখবে মোর নাতি কোনাক?মুই আশা করছুনু নাতীকে স্কুল কলেজে পড়ে বড় অফিসার বানাইম। কিন্তু মোর মনে হয় মোর আশা আর পুরনো হবে না। কথাগুলো বৃদ্ধা নানী অশ্রুভরা কন্ঠে এ প্রতিবেদককে বলে,হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলো। এসময় কাঁদতে কাঁদতে সকলের কাছে সাহায্য সহযোগিতা চান।বৃদ্ধার কাহিনী অনেক,শুনতে গেলে মানবতাকেও হার মানাবে। কেননা,আমাদের মধ্যে অনেকে আছি,যারা কারনে-অকারনে অনেক অর্থ নষ্ট করে ফেলতেছি। অনেক কিশোর-কিশোরী,কুমার-কুমারী টাকার পাহাড়ে ভাসতে গিয়ে নিজের মুলধন টুকু হারাতে বসেছে। তারা একটু ভাবছে না,আমি মুঠো ফোনে এক মিনিট অযা কথা বলে যে টাকা ব্যয় করতেছি তা দিয়ে একটা অসহায় শিশু তার বেচে থাকা অধিকার ফিরিয়ে পেত।আবার অনেক পড়ুয়া ছেলে-মেয়ে আছে যারা ১৪ ফেব্রুয়ারি নিয়ে বিভিন্ন রকম চিন্তাভাবনা করছে। দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন স্থান,উপহার ও মজার মজার গল্প গুছিয়ে রেখেছে। মানবতা আজ তাদের উদ্দেশ্যে বলতেছে,আপনারা এই চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসেন। ওইদিন যে টাকা নষ্ট করবেন,সে টাকা অসহায় এতিম গরীব শিশুদের মধ্যে বিলিয়ে দিন।দেখবেন ১৪ ফেব্রুয়ারি চেয়ে বেশী তৃপ্তি পেয়ে যাবেন।সকল স্কুল,কলেজ,ভার্সিটির ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে একটা পরামর্শ হলো,আপনারা নিজের 'পকেট মানি' থেকে কিছু বাচিয়ে আপানার আশোপাশের অসহায় এতিম শিশুদের মাঝে সাহায্য সহযোগিতা করুন।তবে মনে রাখবেন, বাবার পকেট চুরি করে নয়। বাবা যা 'পকেট মানি' দেয় তা দিয়ে চেষ্টা করবেন। ছবিতে যে ছেলেটি দেখছেন সে ফাহিম হাসান।আসলে সে একজন নিষ্পাপ,অসহায় এতিম।সেও আপনাদের মতো সমাজে বড় হতে চায়? মন চাইলে আপনি আপনার 'পকেট মানি' থেকে তাকে সাহায্য সহযোগিতা করতে পারেন। আমাদের সমাজে এরকম অনেক শিশু আছে যারা অর্থ অভাবে বেচে থাকার অধিকার থেকে দুরে চলে যাচ্ছে।শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়ছে। একমাত্র পারে 'পকেট মানি' এতিম অসহায় শিশুদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে।,'পকেট মানি' সামাজিক সংগঠনের স্বপ্নদ্রষ্টা ও পরিচালক রবিউল ইসলাম রাজ বলেন,শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করতে 'পকেট মানি' এক মাত্র হাতিয়ার।সবল পরিবারের শিশুরা দুর্বল পরিবারের শিশুদের পকেট মানি দিয়ে সাহায্য করবে। এতে শিক্ষার ভারসাম্য বজায় থাকবে। একমাত্র পকেট মানি পারবে অসহায় এতিম শিশুদের আলোর মূখ দেখাতে। আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য পকেট মানিকে সারা বাংলায় ছড়িয়ে দেয়া। এ জন্য সকলের নেক দৃষ্টি একান্ত কামনা করতেছি।