বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারী সদরে যমুনেশ্বরী নদীর দুটি সাঁকো ভেসে যাওয়ায় ভোগান্তি হাজারো মানুষের

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর সদর উপজেলার ০৮নং পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনেশ্বরী নদীতে চিনিরকুটির বাজারস্থ ও উত্তরা শ্বশীর বারোমাসি ঘাটের উপর সেতু না থাকায়, দুটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছিলো স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ দুইটি ইউনিয়নের ৮টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। বর্ষা মৌসুমে এ দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়। ফলে চরম দুর্ভোগের পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে । যমুনেশ্বরী নদীর দুটি সাঁকো ভেসে যাওয়ায় ভোগান্তি হাজারো মানুষের, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী এলাকাবাসীর। ৩০ জুন রবিবার সকালে ঐ এলাকায় সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, যমুনেশ্বরী নদীর উপরে থাকা দুইটি বাঁশের সাঁকো ছিলো তা সামান্য বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে। এতে আরো দূর্ভোগে মধ্যে পড়েছে এলাকাবাসীসহ কমলমতি ছাত্র/ছাত্রীরা। কথা বললে এলাকার লোকজন জানায়, সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর ও ইটাখোলা ইউনিয়নবাসী আমরা চরম বিপদে আছি। এই দূর্ভোগ কতদিন থাকবে, তাও জানেনা তারা । ইটাখোলা ইউনিয়নের চিনিরকুঠি বাজারস্থ পরেশনাথ রায়, ধৌলুরাম রায়, জয়নাল, জহুরুল ইসলাম সহ আরো অনেকে বলেন, সেই ছোট থেকেই দেখে আসছি, শুনে আসতেছি আমাদের স্বপ্নে ব্রীজটি হবে। কিন্তু আজোবদি কোন ব্রীজ দেখলাম না। তারা আরো বলেন, পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ধনীপাড়া এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত কয়েক হাজার মানুষ এই বাজারে যাতায়াত করে ও কমলমতি শিক্ষার্থীরা নিয়মিত স্কুলে আসতো। সামান্য বৃষ্টির পানিতে সাঁকোটি ভেসে যাওয়ায় চরম ভোগান্তি হচ্ছে। অপর দিকে কারবালার ময়দান নামক ঈদগাহ্ মাঠের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ঐ যমুনেশ্বরী নদীর উপরে থাকা বাঁশের সাঁকোটিও সামান্যতম বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেলে, চরম দূর্ভোগে পড়েছে পাঁচটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের উত্তরা শ্বশীর বারোমাসি ঘাটের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে আহিদুল ইসলাম ও মৃত মফেল উদ্দিনের ছেলে হাফিজুল ইসলাম জানান, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু আমাদের এলাকার উন্নয়ন কেন হচ্ছেনা, তা জানিনা। সরকারের কাছে তাদের দাবী, সেতু নির্মাণ করে ইউনিয়ন বাসিকে দূর্ভোগ থেকে মুক্ত করা। । পঞ্চপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান হবিবর রহমান সরকার বলেন, ইউনিয়নের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবী যমুনেশ্বরী নদীর চিনিরকুঠি ও উত্তরা শ্বশীর বারোমাসি ঘাটে দুটি সেতুর। আমি মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে একাধিকবার উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন সভায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। কোন কাজের নমুনা এখন পর্যন্ত পাইনি । যতটুকু পেড়েছি নিজেস্ব উদ্যোগ ও ইউনিয়নবাসীর সহযোগীতায় দুটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে কিছুটা হলেও দূর্ভোগ কমানোর চেষ্টা করেছি । বর্তমানে এই সাঁকো দুটি বৃষ্টির পানিতে ভেসে যাওয়ায় কঠিন দূর্ভোগের মধ্যে রয়েছে ইউনিয়নবাসি। এছাড়াও কমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াত বন্ধের উপক্রম। উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, যমুনেশ্বরী নদীর চিনিরকুঠি এলাকার সেতু নির্মাণের জন্য কোনো প্রকল্প হাতে নিয়েছি । মাটি ছয়েলটেষ্ট করা হয়েছে, নকশা অনুমোদনের অপেক্ষমান। উত্তরা শ্বশীর বারোমাসি ঘাটের সেতুর বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব। আগামী অর্থ বছরে প্রকল্প অনুমোদনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। তবে ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চাইলে আলোচনা স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো।