বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় তীব্র শীতে কাহিল জনজীবন

মানিক লাল দত্ত, নীলফামারীর জলঢাকায় তাম মাত্রা কমে যাওয়ায় টানা তিন দিন ধরে দেখাযায়নি সূর্যের মূখ। গুড়ি, গুড়ি বৃষ্টির সাথে শীতের হিমেল হাওয়ায় জবু থবু হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। ঘরথেকে বের হতে পারছেনা যারা দিন আনে দিন খায়।বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে অবাল, বৃদ্ধ, বনিতা কাহিল হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ জন। হিমালয় সংলগ্ন জেলা নীলফামারী হওয়ায় এ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা একটু বেশি।প্রয়োজন অনেক শীত বস্ত্রের। গেল কয়েক বছর আগে বিভিন্ন বৈদেশিক শীত বস্ত্র পেত এ অঞ্চলের মানুষ। এমন কি বিভিন্ন দেশিয় ব্যাংক বীমা সাহায্যের হাত প্রসারিত করতো এখন আর তা মিলছেনা।নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, আমাদের শীত বস্ত্র এখন রোহিঙ্গা দের দেওয়া হয়।সে কারনেই এ অঞ্চলের অভাবি মানুষ সরকারী শীত বস্ত্র ছাড়া আর কিছুই পান না।তবে যা প্রয়োজন তা খুবেই অপ্রতুল। স্থানীয় হাসপাতাল গুলোতে শীত জনিত রোগে বেশি আক্রান্ত শিশু এবং বৃদ্ধরা।অন্যদিকে,এখন শিশিরসিক্ত দূর্বা ঘাস ও পথঘাট।আর এ শীত নিবারনের জন্য অনেকেই গরম কাপর নিচ্ছে ফুটপাতের দোকান গুলোতে। সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ছোটখাটো দোকানগুলোতেও প্রচুর ভীড় জমাচ্ছেন। দিনে কিছুটা শীত কম হলেও রাতে বেশ শীত অনুভুত হয়।এ শীতে ফুটপাতের ছোটখাটো দোকান গুলোতে কেনা ও বেচার ধুম পড়েছে।প্রচলিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক মাসে শীতের জন্ম হলেও পৌষে গিয়ে পুরোপুরি শীত পড়ে। পৌষ ও মাঘ মাস শীত মৌসুম হিসেবে বিবেচিত হলেও এলাকার মানুষ শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ-তোষক তৈরি করছেন অনেকেই আবার এ শীতের হাত থেকে বাচার গরম কাপড় নিচ্ছেন।এবং শীতের গরম পোশাক পড়তে শুরু করেছে অনেকেই। এতেও শীত কমছে না।তাই খড়,কুটো ও গবরের ঘষি কিংবা পুরাতন সাইকেলের টেয়ার জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে।এ দৃশ্য বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে।বিশেষ করে পৌরসভাধীন বাসষ্ট্যান্ডে শীত নিবারনের চেষ্টা চালাচ্ছে গাড়ির পুরাতন টেয়ার জ্বালিয়ে।যদিও ধোয়াটি স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুকিঁ পূর্ণ তাও মানছে না। এ খানকার মানুষ শীত বস্ত্রের জন্য হা হা কার করছে।জানিনা কবে তাদের চাহিদাগুলো পূর্ণ করবে সমাজের বৃত্তবান ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান সহ উর্ধতনো কর্তৃপক্ষ