বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় সঃপ্রাঃব প্রধান শিক্ষকের অবহেলায় উঠানো হয়নি জাতীয় পতাকা

আব্দুল মালেক,নীলফামারী ॥ সোগায় খায়; সেই বাদে মুইও খাও- এভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিসে মনের সুখে সাংবাদিকদের সামনে বসে সিগারেট টানছেন আর খোশগল্পে মেতেছেন এক প্রধান শিক্ষক।প্রাথমিক শিক্ষাখাতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন অর্থ বছরে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য শিক্ষার্থী অনুপাতে ক্ষুদ্রমেরামত, শ্লিপ ও রুটিন মেরামতের বরাদ্দ দিয়ে থাকে। জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সংস্কারের জন্য সরকার শিক্ষার্থী অনুপাতে আটটি খাতে এসব বরাদ্দ দিয়ে আসে। এসব তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে শুরুতেই চোখে পরে এক স্কুল প্রধানের কর্মকান্ড। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়েও, স্কুল প্রধান অফিসকক্ষে বসে করছে ধুমপান। গত রবিবার (৮ ডিসেম্বর) নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা গোলমুন্ডা ভাবুনচুর মরাতিস্তা সাইফুন বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুর ১.৫০টায় এই দৃশ্য চোখে পরে। ক্ষুদ্রমেরামত, শ্লিপ ও রুটিন মেরামতের বরাদ্দকৃত তথ্য চাইতে গেলে, প্রধান শিক্ষক নুরল ইসলাম মনের সুখে সিগারেট জালিয়ে খোশগল্প করতে থাকে, আর এদিকে ক্যামেরাবন্দি হয়। স্কুল চলাকালীন কেন জাতীয় পতাকা টাঙ্গানো হয় নাই? এ প্রশ্নে প্রধান শিক্ষক বলেন, পরীক্ষা শেষ হওয়ায় ছাত্রছাত্রী না থাকায় পতাকা টাঙ্গানো হয়নি। অফিসকক্ষে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দুটিও দেখা যায় অকেজো। ছবি দুটির নিচে প্রধান শিক্ষকের বসার টেবিল থাকার কথা থাকলেও তা ছিল অপর এক প্রান্তে টাঙ্গানো। ঔ প্রধান শিক্ষকের নিকট এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এরিয়ে যায়। এবং বলে সরকারী বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে কি করবো আর কি করবো না তা আমার ব্যাপার। এঘটনার বিষয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুর মোহাম্মাদ বলেন, এগুলো দেখার দায়িত্ব সহকারী অফিসার (এটিও)দের, আমি এব্যাপারে কিছুই বলতে পারবো না। উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হারুন অর-রশিদ মুটো ফোনে বলেন, যারা এধরনের কর্মকান্ড করে, সে যতবড় ক্ষমতাধর হউক না কেন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।