বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় আদালতের রায় পেয়েও নিকাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রারের কাজে বাধাঁ

আব্দল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ- আদালতের রায় পেয়েও নিকাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রারের কাজে বাধাঁ ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকী, এমনকি প্রান নাশের আতংকে জীবন-যাপন করছে নিকাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রার আনিছুর রহমান। প্রায় ৪০ বছর ধরে অস্থায়ী এবং স্থায়ী ভাবে নিকাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রারের কাজ করে আসছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ০১নং- গোলমুন্ডা ইউনিয়নের বাসিন্দা কাজী আনিছুর রহমান। আদালতের রায় হাতে নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় অসহায় জীবন-যাপন করছেন তিনি। স্থানীয় লোকজনের সূত্রমতে জানা যায়, আনিছুর রহমান শৈশবকাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত, কিভাবে ”মোমাররফ হোসাইন” একজন জামাতপন্থী নেতার প্রভাবে অবৈধভাবে নিকাহ্ ও তালাক রেজিষ্ট্রারের কাজ করতে পারে। এলাবাসির দাবী সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার। এনিয়ে বিজ্ঞ আদালত নীলফামারীতে মামলা হয় উভয় পক্ষের। মামলার রায় আনিছুর রহমানের পক্ষে আসলেও উচ্চ আদালত মহামান্য হাইকোটে আপীল করে। আপীল শুনানীতেও নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকে। আনিছুর রহমান বলেন, গোলমুন্ডা ইউনিয়নের নিকাহ্ ও তালাক রেজিষ্ট্রারের কাজ করাকালীন বিগত ০১/০৬/০৩ইং তারিখে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের ৩৭০/বিচার-৭/২ এন ৮৪/৮৩ স্মারক মুলে নিকাহ্ ও তালাক রেজিষ্ট্রার হিসেবে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পান। পরে ০১/০৯/০৩ইং তারিখে একই মন্ত্রণালয়ের ৪৮৫/বিচার-৭/২ এন ৮৪/৮৩ স্মারকে স্থায়ীভাবে কাজ করার ভিত্তিতে ১২/১১/২০০৩ সালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ৯৫৯(৫) নং স্মারকে বিজ্ঞপ্তি জাড়ির মধ্য দিয়ে ০৬/১২/২০০৩ইং এর অফিস আদেশের তারিখ হইতে সর্ব সাধারনকে সকল প্রকার বৈধ নিকাহ্ ও তালাক রেজিষ্ট্রাশনের কাজ করার জন্য আমাকে আদেশ করা হয়। তিনি বলেন, সেই আদেশ অনুযায়ী জেলা রেজিষ্ট্রারে নিকাহ্ ও তালাক রেজিষ্ট্রারের বইয়ের জন্য আবেদন করি। এরপর প্রায় দেড় যুগ ধরে চলে আমার উপর বিভিন্ন ষড়যন্ত্র। সেই থেকে আমি অসহায় জীবন-যাপন করে আসছি। আনিছুর রহমান আরো বলেন, আদালতের রায় পাওয়া সর্তেও কেউ আমার কথা শুনেনি, বরং আমাকে পাগল বলে বের করে দেয়। আমি এটার ন্যায় বিচার চাই।