বিজ্ঞাপন দিন

সরকারি জমি দখল করে পুকুর খনন তিস্তা সেচ খাল ধ্বসে যাবার আশঙ্কা

ভ্রাম্যমান সংবাদদাতা,নীলফামারীঃ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার উপর দিয়ে চলে যাওয়া দেশের বৃহত্তম সেচ খালের অধিগ্রহণকৃত জমি দখল করে পুকুর খনন করছে পানি উন্নয়ন বোডের কর্মচারী দম্পত্তি। এমন অভিযোগ উঠেছে। ফলে পানির চাপ বেশি হলে যে কোন সময় খালের তীর ধ¦সে গিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে বাড়ি-ঘর,জমিসহ ব্যাপক ফসলহানী হতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোডের ডালিয়া ডিভিশনে কর্মরত এমএলএসএস দম্পত্তি মৃত আব্দুল হামিদ কান্দুরা মুন্সির ছেলে ছমির উদ্দিন ও তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম স্থানীয় কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড শৌলমারী পাড়ায় তিস্তা সেচ খালের অধিগ্রহণকৃত জমি দখল করে পশ্চিম তীরে পুকুর খনন করছে। এতে যে কোন সময় তীর ধ্বসে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে জমি ও ফসলহানী হতে পারে। যদিও তীর হতে প্রায় এক’শ ফিট জায়গা সরকারী অধিগ্রহণকৃত। তারপরেও তারা কোন তোয়াক্কা না করে খনন কাজ অব্যাহত রেখেছে।
সরেজমিন রবিবার (৩এপ্রিল) সকালে খালিশা চাপানী শৌলমারী পাড়ায় গেলে দেখা যায়, তিস্তা সেচ খালের পশ্চিম তীরে টিন দিয়ে ঘেরার আড়ালে প্রায় ৩০জন শ্রমিক মাটি খননের কাজ করছে। এসময় সেখান হতে চল্লিশোর্ধ একজন মহিলা বাইরে আসে। নাম মর্জিনা বেগম। করোনায় যেহেতু লকডাউন ও সরকারী ছুটি চলছে তাই এই ফাঁকে কাজগুলো এগিয়ে নিচ্ছেন বলে জানান মর্জিনা বেগম। সেখান হতে আরেকটু সামনে গেলে দেখা মেলে ছমির উদ্দিনের। প্লাস্টিকের চেয়ারে পা দোলাতে দোলাতে ছমির উদ্দিন বলেন, আমাদের এখানে এক একর জমি ছিল। সেচ খাল হয়ে সেখানেই জমিগুলো গেছে। তাই বাড়ি করতে সামনের মাটিগুলো দিয়ে পিছনের দিকটা ভরাট করছি। আর এগুলো তো আমাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি ছিল। এবিষয়ে কথা হলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী ডালিয়া ডিভিশন রবিন সিন ফিরোজ বলেন, ‘যেহেতু আজকে খবরটা পেলাম। আমি বিকালে যাব। সরেজমিনে দেখে আমার উর্ধ্বতনকে জানাবো। তারা দু’জনেই আমাদের পিয়ন। সার্ভিস রুল অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোড ডালিয়া ডিভিশন নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। এমন খনন কাজ করলে তা অবশ্যই অপরাধ। আমি এখনি কাজ বন্ধ করতে সেখানে লোক পাঠাচ্ছি।’