বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশ না মেনে স্কুলেই বিস্কুট বিতরণ করছেন শিক্ষকরা

ফরহাদ ইসলাম জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশ মানছেন না প্রাথমিকের কিছু শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি না গিয়ে স্কুলেই বিস্কুট বিতরণ করছেন তারা। বিস্কুট পেতে স্কুলের সকল শিক্ষার্থী এবং কিছু অভিভাবক একসঙ্গে আসায় জনসমাগমে পরিনিত হচ্ছে স্কুল মাঠ। এতে করে বর্তমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুকিতে থাকছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বর্তমান করোনা ভাইরাসের কারনে বন্ধ রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই শিশু শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফিডিং বিস্কুট বিতরণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এর অংশ হিসেবে জলঢাকা উপজেলায় গত বুধবার (১৩ মে) শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম উদ্ধোধন করেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এবং পর্যায়ক্রমে এ উপজেলার ২৪৫ টি প্রাথমিক স্কুলের ৪৭ হাজার শিক্ষার্থীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৫০ প্যাকেট করে বিস্কুট দেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষা অফিস। ওই দিন বেশ কিছু স্কুলের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রত্যেককে ৫০ প্যাকেট করে বিস্কুট বিতরণ করলেও একদিনের ব্যবধানে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। কিছু স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি না গিয়ে বিস্কুট নিতে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে বলেন। প্রায় দেড় মাস স্কুল বন্ধ থাকায় বিস্কুট থেকে বঞ্চিত ছিল কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তাই দির্ঘদিন পর বিস্কুট পাওয়ার কথা শুনে ছুটে আসে স্কুল মাঠে।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (১৪ মে) উপজেলার গোলনা রথবাজার সরঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়,সামাজিক দূরত্ব না মেনে হৈ-চৈ এর মধ্যে বিস্কুট বিতরণ করছেন ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনিরা বেগম। স্কুলে জনসমাগম সৃষ্টি করে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে শিক্ষার্থীদের বিস্কুট বিতরণের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই শিক্ষিকা বলেন,‘‘কিছু শিক্ষার্থীর বাড়ি গিয়ে বিস্কুট দিয়েছি,আর কিছু শিক্ষার্থীকে স্কুলে দিচ্ছি।’’ একই চিত্র উপজেলার চিড়াভিজা গোলনা,ঘুঘুমারী ও ধর্মপাল উত্তরপাড়া সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয়ে। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশ না মেনে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি না গিয়ে স্কুলে বিস্কুট বিতরণের বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে অবগত করলে অফিস কতৃপক্ষ ওই দিন অভিযুক্ত ওই ৪ স্কুলের প্রধানকে নোটিশ করেন ‘‘সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে শিক্ষার্থীদের বিস্কুট বিতরণ করার জন্য।’’ এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মাদ বলেন,‘‘অভিযুক্ত ৪ স্কুলের প্রধানকে নোটিশ করা হয়েছে,নোটিশের জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান বলেন,‘‘শিক্ষার্থীদের বাড়ী গিয়ে বিস্কুট দেওয়ার নিয়ম,যারা এ নিয়ম মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’