বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় মানবাধিকারের সর্বোচ্চ নামধারীদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ"

রবিউল ইসলাম রাজ,জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (এনপিএস) মানবাধিকারের নাম সর্বোচ্চ নামধারীদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের ফলে কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক জলঢাকা উপজেলা কমিটি বিলুপ্তি করে দিয়েছে অনেক আগে। এ কমিটির ভূয়া নামধারী কর্মীদের দুর্নীতি ও নিয়মে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে উপজেলার আপামর জনতাসহ জনসাধারণ। প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে জানা যায়,সম্প্রতি পৌরশহরের প্রয়াত সুলতান হোসেন সুবনির স্ত্রী মর্জিনা খাতুনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের সৃষ্ট ঘটনায় (এনপিএস) মানবাধিকার কমিটির ভূয়া নামধারী কর্মীরা অভিযোগ ছাড়াই ঘটনাস্থলে যায়। 

সেখানে দাপটের সহিত ভিডিও করতে থাকলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের লোকেরা ভূয়া নামধারী মানবাধিকার কর্মীদের গণধোলাই দেয়। এই ভূয়া মানবাধিকার কর্মী জেসমিন বেগমের স্বামী ইউসুফ (৪৫) একটি সাজানো অভিযোগ পত্র তৈরী করে জলঢাকা থানায় অভিযোগ করে একজন গুনি শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সেই শিক্ষককে বিভিন্ন কায়দায় ব্লাকমেইলের ফাদে ফেলার চেষ্টা করে সফল হয়। তাই,গুনি শিক্ষক নিজ সম্মান রক্ষার্থে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে স্থানীয় মটর শ্রমিক অফিসে মীমাংসা করে নেয়। মীমাংসায় প্রাপ্ত জরিমানা (এনপিএস) মানবাধিকার ভূয়া কর্মীরাই ভাগাভাগি করে হয়। এ নিয়ে পুরো উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্যকর ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিলুপ্তি কমিটির প্রচার সম্পাদক তহিদুল ইসলাম জানায়,আমাদের কমিটি ভেঙ্গে গেছে অনেক দিন আগে। কে বা কারা নাম ভাঙ্গিয়ে চলে আমি কিছু জানি না? 

এ কমিটি অপর একজন সদস্য সাবানা আক্তার বলেন,আমাদের কমিটি বর্তমানে নেই। এ জন্য কার্যক্রমও বন্ধ আছে। কেউ যদি কমিটির নাম ভাঙ্গিয়ে ধান্দা বাজি করে তা ঠিক হবে না। স্থানীয় সচেতন মহলেরা জানান,মানবাধিকার সমাজের বটগাছ। কিন্তু এখন মানবাধিকার কর্মীদের মানুষ আর বিশ্বাস করে না। কারন,এখন মানবাধিকার কমিটি মানে,অশিক্ষিত,পান বিক্রেতা,ড্রাইভার,বাটপার ও মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের সদস্য বানিয়ে কমিটি দেয়া হয়।তাহলে,তাদের কাছে সমাজ কী আশা করবে? আর এদের কারনেই মানবাধিকারে যাদের থাকার কথা,তারা সম্মান বাঁচানোর ভয়ে মূখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।